ইসলামাবাদ: # রাজনাথের বক্তৃতা সম্প্রচারে বাধা দেয় পাক সরকার। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পাক সরকারের আচরণে ক্ষুব্ধ রাজনাথ বক্তৃতার পর হাতও মেলাননি সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরি নিসারের সঙ্গে, যদিও দুজনে মুখোমুখি হন। মধ্যাহ্নভোজেও নেননি রাজনাথ। তাঁর বিকেল পাঁচটায় দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এক ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতিতে ২০ ঘণ্টারও বেশি কম সময় পাকিস্তানে থেকে তিনি দুপুরেই দিল্লি ফিরে আসেন।


# পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করেই তাদের নিশানা করলেন রাজনাথ সিংহ। তাঁর আক্রমণের টার্গেট হন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। গতকালই সার্ক সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদে পা রাখেন রাজনাথ। কালই কাশ্মীর আর নিয়ে সুর চড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর স্রেফ ভারতের ঘরোয়া বিষয় নয়। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর অগ্নিগর্ভ কাশ্মীরে স্বাধীনতা আন্দোলনের নতুন ঢেউ উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেই প্রেক্ষাপটেই সার্ক সম্মেলনে রাজনাথ তাঁর ভাষণে জানিয়ে দেন, শুধু জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিলেই হবে না, তাদের মদতদাতা ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দেশগুলির বিরুদ্ধেও নিতে হবে। সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করা দেশগুলির বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ চাই। সন্ত্রাসবাদীদের শহিদ তকমা দিয়ে তাদের ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে হিরো করে দেখানো চলবে না। প্রসঙ্গত যে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়েছে, তাকে শহিদ আখ্যা দিয়েছিলেন শরিফই। সুতরাং আজকের মন্তব্যে রাজনাথ যে শরিফকেই পাল্টা দিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভাল বা খারাপ সন্ত্রাসবাদী বলে কিছু হয় না, ভাষণে এও বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, শুধু মুখে সন্ত্রাসবাদী, সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করলেই হবে না। তাদের নির্মূল করতে ব্যবস্থা নেওয়াই আসল কথা।