কুয়ালালামপুর: নিখোঁজ বিমান এমএইচ ৩৭০-র পরিণতি ঘিরে রহস্য, অনিশ্চয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। তার মধ্যেই গত জুন মাসে তানজানিয়া উপকূলে পেম্বা দ্বীপ থেকে মেলা বিমানের ভাঙাচোরা টুকরো সম্ভাব্য মর্মান্তিক পরিণতি হওয়া বিমানটিরই বলে জানিয়ে দিল মালয়েশিয়া। সে দেশের পরিবহণ মন্ত্রক বলেছে, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো ওই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পার্ট নম্বর, ডেট স্ট্যাম্প সহ আহও বেশ কিছু  নমুনা রয়েছে যা থেকে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে,  সেগুলি মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের হতভাগ্য বিমানটিরই।


মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এই উপসংহারে এসেছেন যে, ভাঙাচোরা ডানার অংশটি ৯এম-এমআরও (যা এমএইচ ৩৭০ নামেও পরিচিত)-রই। ওই ধ্বংসাবশেষের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিশ্লেষণ চলবে। আশা করা হচ্ছে, এমন আরও তথ্যপ্রমাণ মিলতে পারে যা এমএইচ ৩৭০-এর উধাও রহস্যে নতুন আলোকপাত করবে। কোন পরিস্থিতির মধ্যে বিমানটি পড়েছিল, জানা যাবে। অবশ্য গোড়ায় ওই ভাঙাচোরা অংশ এমএইচ ৩৭০-র হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই জানিয়েছিল মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০১৪-র ৮ মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী সমেত কুয়ালালামপুর থেকে বেজিং রওনা হয়ে আচমকা উধাও হয়ে যায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের জেট বিমানটি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, সেটি ভারত মহাসাগরের কোলে ভেঙে পড়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রের গভীরে তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান চালিয়েও তার হদিশ মেলেনি। যদিও বেশ কিছু ভাঙাচোরা টুকরো মেলে, যেগুলিকে ওই বিমানেরই বলে দাবি করা হচ্ছে। সম্ভবত সেগুলি ভাসতে ভাসতে কয়েক হাজার কিমি দূরে আফ্রিকা উপকূলে চলে গিয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে ভারত মহাসাগরের ১ লক্ষ ২০ হাজার বর্গকিমি এলাকা জুড়ে সমুদ্র তোলপাড় করে যে তল্লাসি অভিযান চলছে, তা প্রায় শেষ হওয়ার মুখে।  বিমানের যাত্রীদের  পরিবারের লোকজন ধরেই নিয়েছেন যে, আনুষ্ঠানিকভাবে তল্লাসি অভিযান শীঘ্রই বন্ধ করে দেওয়া  হবে।

গত সোমবারই অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তাদের হাতে এমএইচ ৩৭০-এর অন্যান্য সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ তুলে দিয়েছেন ব্লেইন গিবসন নামে এক শখের মার্কিন তদন্তকারী। তাঁর দাবি, একাধিক ভাঙাচোরা টুকরো আগুনে পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে, যা থেকে উড়তে থাকা অবস্থাতেই বিমানে আগুন ধরে  যাওয়ার সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিচ্ছে।