ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর ট্যান ইয়ানিং জানিয়েছেন, ‘অং কিম হুয়াতের বোনের কাছে তাঁদের বড় ছেলেকে রাখা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। ২০১৭-র ১৭ মার্চ রাত ১১টা নাগাদ ঝগড়া চলাকালীন অংয়ের স্ত্রী নিজের দিকে একটি ফল কাটার ছুরি বাগিয়ে ধরেন। তিনি অংকে বলেন তাঁকে মেরে ফেলতে। অং সে কথায় কান দেননি। ফলে তখনকার মতো ঝগড়া মিটে যায়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই একটি বেত নিয়ে স্ত্রীর পিঠে মারতে থাকেন। এরপর ঘুঁষি মেরে নাক ভেঙে দেন তিনি। তদন্তের সময় অং স্বীকার করেন, তিনি স্ত্রীকে বার্তা দেওয়ার জন্যই তাঁকে বেত মারেন। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইছিলেন, ঝগড়ার সময় ছুরি বাগিয়ে ধরা ঠিক হয়নি।’
ইনানিং আরও জানিয়েছেন, জখম অবস্থায় অংয়ের স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায়, তাঁর নাক ভেঙে গিয়েছে এবং ডান চোখের উপরে এক সেন্টিমিটার কেটে গিয়েছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে অবশ্য তাঁদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাঁদের ছেলে আবার বাড়িতে ফিরে আসবে বলে জানা গিয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই বিচারপতি অংয়ের কারাদণ্ডের সাজা না দিয়ে তাঁকে জরিমানা করেই ছাড় দিয়েছেন।