প্যারিস: সেনার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে মারল নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনাস্থল ফ্রান্সের রাজধানী শহরের ওরলি বিমানবন্দর। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এ ঘটনার পর বিমানবন্দর খালি করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এটি ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমাবন্দর। এ ঘটনার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেখানকার দুটি টার্মিনালই। ফ্রান্সে দু দফায় হতে চলা প্রেসিডেন্ট ভোটের আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। দেশজুড়ে টানটান উত্তেজনা। তার মধ্যেই এ ঘটনা। প্রেসিডেন্ট ভোটে নিরাপত্তা এবার বড় ইস্যু।

ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, গুলিতে নিহত হওয়ার আগে বিমানবন্দরের ভিতরে একটি দোকানে ঢুকে পড়েছিল অস্ত্র ছিনতাইকারী লোকটি। এ ঘটনায় কেউ জখম হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রকের জনৈক মুখপাত্র। বিমানবন্দরটি প্যারিসের দক্ষিণ শহরতলিতে। বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের। লোকটির কাছে বিস্ফোরক ছিল কিনা, জানার চেষ্টা চলছে, বলেছেন মন্ত্রকের মুখপাত্র। বিমানবন্দর অভিমুখে যাত্রা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের অসামরিক উড়ান কর্তৃপক্ষ।

জনৈক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, আমরা তেল আভিভের বিমান ধরতে চেক ইন করব  বলে লাইনে  দাঁড়িয়ে ছিলাম। আচমকা তিন-চারবার গুলির শব্দ পাই। গোটা বিমানবন্দর খালি করে দেওয়া হয়। আমরা সবাই বিমানবন্দরের বাইরে চলে এসেছি।
২০১৫-র নভেম্বরে প্যারিসে গণহত্যা, গত বছরের জুলাইয়ে নিসে বিস্ফোরকবাহী ট্রাক হামলা সহ দফায় দফায় সন্ত্রাসবাদী নাশকতা ঘটেছে ফ্রান্সে। জরুরি অবস্থা এখনও বহাল সে দেশে। গত মাসের মাঝামাঝি প্যারিসের লুভরে মিউজিয়ামে ম্যাচেট হামলা চালায় এক মিশরীয়। পাল্টা গুলিতে জখম হয় সে।