নয়াদিল্লি:  সম্প্রতি টুইটারের এক প্রাক্তন-কর্মী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট আচমকাই ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থায় কাজের শেষদিনে। প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্টটি প্রায় এগারো মিনিটের জন্যে অচল হয়ে গিয়েছিল। দাবানলের মতো সেই খবর ছড়িয়েও পড়েছিল। পরে অবশ্য সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, অসাবধনতাবশত ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টটি অচল হয়ে গিয়েছিল। সমস্যাটা বোঝার কয়েকমুহূর্তের মধ্যেই ফের অ্যাকাউন্ট সচল করে দেওয়া হয়। এতদিন পর্যন্ত সকলেই জানতেন, সংস্থার এক কর্মী সেখানে তাঁর কাজের শেষ দিনে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ছিলেন। এবার সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ্যে এলেন, এবং এই কাণ্ডের নেপথ্যে আসল কারণ কী রয়েছে, সেপ্রসঙ্গে মুখ খুললেন। ওই ব্যক্তির নাম বাহতিয়ার দুইসাক।


এই ব্যক্তি তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। তিনি টুইটারে কন্ট্র্যাক্টর হিসেবে কাজ করতেন, অপর আরেক সংস্থা প্রো আনলিমিটেডের হয়ে। প্রসঙ্গত, সেদিন তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করেননি, ভুলবশত হয়ে গিয়েছিল। এক সাক্ষাত্কারে একথা জানিয়েছেন বাহতিয়ার। বাহতিয়ার দাবি করেছেন, মার্কিন মুলুকে তাঁর মারাত্মক পরিশ্রম হচ্ছিল। তিনি ক্লান্ত ছিলেন। ক্লান্তিতে এই কাণ্ডটি ঘটিয়ে ফেলেন। ঘটনার দিন এক টুইটার ব্যবহারকারী ট্রাম্পকে তাঁর ওপর ঘটা হেনস্থা নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করার জন্যে প্রক্রিয়া চালু করে দেন ওই ব্যক্তি। তবে সেই প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থাকতেই তিমি মেশিন বন্ধ করে সংস্থা থেকে বেরিয়ে যান। তারপর আচমকা দেখেন ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে গিয়েছে, যদিও এটা নাকি আশাই করেননি বাহতিয়ার।

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্টিভেট হওয়ার পর  ট্রাম্প টুইট করে বলেন, ১১ মিনিটের জন্যে আমার অ্যাকাউন্টটি থমকে গিয়েছিল। আপাতত টুইটারের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, এধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না। পুরো ঘটনার তদন্তও করে দেখছেন তাঁরা।