উহান: পারস্পরিক যোগাযোগ মজবুত করতে, আস্থা ও বোঝাপড়া গড়ে তুলতে নিজেদের সেনাবাহিনীকে 'কৌশলগত দিকনির্দেশ, পরিচালনা' করবে ভারত ও চিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে। ভবিষ্যতে ডোকলামের মতো পরিস্থিতি এড়াতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।
প্রেসিডন্ট শি-র সঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ভারত-চিন সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র, জানান মোদী। বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দু দেশের জনগণের স্তরে যোগাযোগ চাঙ্গা করার রাস্তা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। এছাড়াও আলোচনায় ছিল কৃষি, প্রযুক্তি, শক্তি ও পর্যটনের মতো বিষয়ও।


দুজনেই ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বলে জানান গোখলে। বলেন, এই উদ্দেশ্যে তাঁরা নিজ নিজ সেনাবাহিনীকে সীমান্ত পরিস্থিতি সামলানোয় কার্যকারিতা বাড়ানোয়, পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে কৌশলগত দিকনির্দেশ করেছেন। দুপক্ষের আলোচনায় পারস্পরিক, সমান নিরাপত্তার নীতি সহ আস্থা নির্মাণে যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, চলতি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে, সীমান্তে সংঘাত এড়াতে তথ্য বিনিময়ের সিস্টেম জোরদার করতে যেসব ব্যবস্থা ভাবা হয়েছে, সেগুলি দ্রুত কার্যকর করতেও তাঁরা নিজেদের বাহিনীকে নির্দেশ পাঠিয়েছেন।
সীমান্ত ইস্যুর বাস্তবসম্মত, গ্রহণযোগ্য ও ন্যায্য সমাধানের লক্ষ্যে বিশেষ প্রতিনিধিদের পদক্ষেপও অনুমোদন করেছেন তাঁরা।

পাশাপাশি চিন জানিয়ে দিয়েছে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের ব্যাপারে তারা ভারতের ক্ষেত্রে খুব বেশি কঠোর অবস্থান নেবে না। ২০১৩-য় ক্ষমতায় এসে শি কয়েক লক্ষ কোটি ডলারের এই প্রকল্প হাতে নেন। এই প্রকল্পের মধ্যে চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর প্রকল্পও আছে। যা নিয়ে ভারত এর মধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে, কেননা এটি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।