নয়াদিল্লি: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের কাশ্মীর সফরের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন নর্থ ওয়েস্ট ইংল্যান্ডের লিবারেল ডেমোক্র্যাট এমপি ক্রিস ডেভিস। গত ৭ অক্টোবর তিনিও কাশ্মীর সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনদিন বাদেই তা ফিরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ডেভিস। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে ২৩ সদস্যের ইইউ পার্লামেন্ট এমপিদের দলের সফর যখন চলছে, তখন ডেভিস বলছেন, তিনি কোনও নিরাপত্তা বলয় ছাড়াই কাশ্মীরে নিজের মতো ঘুরে ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চাওয়ার পরই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হয়। ডেভিস জানিয়েছেন, তিনি অবাধে পুলিশ, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলার, সাংবাদিকদেরও সফরে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বলেই আমন্ত্রণ বহাল রাখা হয়নি। ক্ষুব্ধ ডেভিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, মোদি সরকারের জনসংযোগ (পিআর) চালানোর চটকদার পদক্ষেপের শরিক হয়ে কাশ্মীরে সব কিছু ঠিকঠাক আছে, এই ভান করতে প্রস্তুত নই।
মোদি সরকারের ২৩ ইইউ এমপি-কে কাশ্মীর উপত্যকা সফরের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডেভিস বলেন, এটা খুব পরিষ্কার, কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি খর্ব করা হচ্ছে, গোটা দুনিয়ার নজর পড়ছে সেদিকে। ভারত সরকার কী লুকোতে চাইছে? কেন তারা সাংবাদিক ও সফরকারী রাজনীতিকদের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে অবাধে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে না?
উত্তর পশ্চিম ইংল্যান্ডের কয়েক হাজার মানুষের কাশ্মীরের সঙ্গে পারিবারিক যোগাযোগ আছে বলে জানান ডেভিস। বলেন, ওঁরা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে খোলা মনে কথা বলতে চান। ওঁরা চান, ওঁদের কথা শোনা হোক।
তিনি আরও বলেন, আমার আশঙ্কা, এর শেষটা ভাল হবে না। সরকার কখনই মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে সামরিক শাসন চাপিয়ে তাঁদের মন জিততে পারে না। একটা হিংসাত্মক পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি, বিপদ থেকেই যাচ্ছে।
৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেতেই ২৩ বিদেশি এমপি-র দলটিকে উপত্যকায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও ভারত বারবার আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার একেবারেই তার ঘরোয়া বিষয়।