সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জ: সামরিক অভিযানের নামে অসংখ্য রোহিঙ্গা মহিলা ও মেয়েকে গণধর্ষণ করেছে মায়ানমার সেনা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংগঠন।


সংগঠনের মতে, যে হারে যৌন নির্যাতন সহ অন্যান্য নৃশংস আচরণ করেছে মায়ানমার সেনা, তা মানব সভ্যতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে।


একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মায়ানমার সেনা অসংখ্য রোহিঙ্গা মহিলা ও মেয়েকে এক জায়গায় রেখে তাঁদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। নির্যাতিতা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।


সংগঠনের প্রধান গবেষক স্কাই হুইলার বলেন, রোহিঙ্গা উচ্ছেদ অভিযানে ধর্ষণ একটা বড় হাতিয়ার ছিল মায়ানমার সেনার। সামরিক বাহিনীর এই বর্বরোচিত আচরণের ফলে বহু মহিলা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।


রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে একজন মহিলা বা মেয়েকে ২-৩ জন সেনা জওয়ান ধর্ষণ করেছে। কিছুক্ষেত্রে ৫-৬ জন সেনা মিলেও একজনকে ধর্ষণ করেছে।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পৌঁছে বহু মহিলা তাঁদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। উঠে এসেছে, কীভাবে তাঁদের চোখের সামনেই শিশুসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেই দৃশ্য দেখার পর তাঁদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে সেনা।


রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে পৌঁছনোর পর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বহু মহিলার গোপনাঙ্গ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে মায়ানমারে রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে সামরিক অভিযান চালায় মায়ানমার সেনা। এর ফলে, প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম সেই দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।