নয়াদিল্লি: হাউস্টনে ২২ সেপ্টেম্বরের ‘হাউডি মোদি’ কর্মসূচির প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমেরিকায় স্বাগত জানালেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য তুলসি গাবার্ড। ভিডিও বার্তায় মোদির কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির জন্য সেখানে থাকতে পারবেন না বলে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন আইনসভার প্রথম হিন্দু সদস্য তুলসি ট্যুইট করেছেন, নমস্তে! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তাঁর আমেরিকায় সর্বশেষ সফর উপলক্ষ্যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে চাই এবং আমি দুঃখিত যে, আগে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার কর্মসূচি ঠিক হয়ে থাকায় সেখানে সশরীরে হাজির থাকতে পারব না। এটা দেখে সত্যিই ভাল লাগছে যে, আমাদের সারা দেশের এতজন ভারতীয় মার্কিন ও আমার কংগ্রেসের সহকর্মীরাও সেখানে সমবেত হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, আইওয়ায় প্রচার কর্মসূচি আছে তুলসির।
তিনি ভারত, আমেরিকাকে আরও কাছাকাছি এসে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র, আমেরিকার এশিয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শরিকদের অন্যতম। যেসব জলন্ত সমস্যা আমাদের ও গোটা দুনিয়ার ওপর প্রভাব ফেলছে, যেমন জলবায়ু বদলের মোকাবিলা, পরমাণু যুদ্ধ ও পরমাণু প্রসার রোধ ঠেকানো ও আমাদের জনগণের আর্থিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানো-সেগুলি নিয়ে আমাদের দুটি দেশকেই একযোগে হাত মিলিয়ে চলা উচিত।
ভিডিও বার্তায় সংস্কৃত ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ (গোটা বিশ্ব একটি পরিবার) বাণীর উল্লেখ করেও তিনি বলেন, উন্নয়ন, সম্পদ, সুযোগ, সাম্য, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ দমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দুটি দেশের শক্তিশালী ও স্থায়ী শরিকি সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে আমরা বসুধৈব কুটুম্বকম-এর ভাবনাকেও বাস্তবায়িত করতে পারি, এই গ্রহের প্রত্যেকেই, আমরা সবাই এক পরিবার, এই বোধকে স্বীকৃতি দিতে পারি। ঘৃণা, অজ্ঞতা, উগ্রতা, অন্ধ ধারণার কোনও স্থান নেই। ২১ শতকে আমরা একসঙ্গে কাজ করি আসুন। জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতপাত, আর্থিক মানমর্যাদা বা রাজনৈতিক আনুগত্য যা-ই হোক না কেন, অপরের জন্য শ্রদ্ধা-সম্মান, সেবা ও ভালবাসা-প্রেম।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ উপলক্ষ্যে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি। নিউইয়র্কের রাষ্ট্রপুঞ্জের দপ্তরে যাওয়ার আগে তিনি হাউস্টনের অনুষ্ঠানে যাবেন। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে থেকে বিশেষ কোনও ঘোষণা করতে পারেন বলে আগেই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।