নিউইয়র্ক: কাশ্মীরের উন্নতি হোক, চান না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় মতামত লিখলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ শ্রীঙলা। দিন কয়েক আগেই ওই পত্রিকায় ভারতের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের সিদ্ধান্তর সমালোচনা করেছিলেন ইমরান। তার পাল্টা জবাব হিসেবেই বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল এই লেখনী।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরই জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে উঠেছে বিশেষ রাজ্যের তকমা। যার ফলে নিজস্ব সংবিধান, পতাকা ইত্যাদি সকল ক্ষমতাই হারিয়েছে ভূস্বর্গ। এখন রাজ্যের বদলে জম্মু-কাশ্মীর স্রেফ দেশের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ভারতের এই পদক্ষেপ নিয়েই আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে পাকিস্তান। ইমরান খান আগেই বলেছিলেন, ‘ভারতের সিদ্ধান্ত অবৈধ’। তবে ভারতও সাফ জানিয়ে দেয়, জম্মু ও কাশ্মীর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কঠোর অবস্থানের পর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দখল নিতেও মরিয়া। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিজেদের দখলে নেওয়ার কথা বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ভারতের ওপর চাপ তৈরিতে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করেও ব্যর্থ। আমেরিকায় গিয়ে ইমরান খান নালিশ করেছেন, ভারত অবৈধভাবে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে এবং এতে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের জীবনে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ইমরানের এই অভিযোগ খণ্ডন করে তাঁকে কার্যত একহাত নিয়েই এবার নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় মত প্রকাশ করলেন ভারতীয় দূত হর্ষ শ্রীঙলা।
ভারতীয় দূত লেখেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে। সারা বিশ্বে সন্ত্রাস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ঠাই পাকিস্তান। ওসামা বিন লাদেনও তার জীবনের শেষ কয়েকটা দিন ইসলামাবাদে কাটিয়েছে। সুতারাং, পাকিস্তান যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ও সেখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিরোধিতা করবে, এটাই স্বাভাবিক।” ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পক্ষে জোরাল সওয়াল করে শ্রীঙলা বলেন, “ভারত ঐতিহাসিক ভুলের সংশোধন করল।” একইসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে শ্রীঙলার আক্রমণ, “নিজেদের কায়েমী স্বার্থ থেকেই জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের উন্নতি চাইছে না পাকিস্তান।”