লিসবন: পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পর্তুগিজ বিদেশ মন্ত্রকের সদর দফতর নেসেসিদাদেস প্যালেসে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্তা।





পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এদিন দারুণ এক চমক ছিল মোদীর জন্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে তিনি গুজরাতি খানার আয়োজন করেছিলেন। আখু শাক, ম্যাঙ্গো শ্রীখন্ডের মতো গুজরাতি ডিশ ছিল মেনুতে। পাশাপাশি মোদীকে দেওয়া হয় সাগ কোপ্তা, রাজমা আউর মকাই, তড়কা ডাল, কেশর রাইস, পরোটা, রোটলি, পাপড় , গুলাব জামুন ও আরও কিছু মিষ্টি।

মোদীই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী যিনি পা রাখলেন পর্তুগালে। সফর মাত্র একদিনের, কিন্তু তাতেই ভারত-পর্তুগাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

লিসবনের পাবলিক স্কোয়্যার লার্গো ডো রিলভাসের একটি ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত ভবনও মোদীকে ঘুরিয়ে দেখান কোস্তা।

ঘটনাচক্রে গত জানুয়ারিতেই ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। গোয়ায় পৈত্রিক ভিটেয় গিয়েছিলেন এদেশে থেকে যাওয়া তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে। আর আজ পাল্টা তাঁর দেশে শুভেচ্ছা নিয়ে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

পর্তুগালের পর নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা ও নেদারল্যান্ডস সফর করবেন। ওয়াশিংটনে তিনি বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। এরপর ২৭ তারিখ নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতের সঙ্গেও হবে তাঁর বৈঠক। পাশাপাশি তিনি দেখা করবেন নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলিয়াম-আলেকজান্ডার ও রানি ম্যাক্সিমার সঙ্গে। এই সফরের ফলে তিন দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে প্রধানমন্ত্রী নামিদামি কয়েকটি মার্কিন কর্পোরেট সংস্থার সিইওদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তবে তাঁর এই ৪ দিনের সফরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের জয়ের পর এই প্রথম তাঁরা দুজন মুখোমুখি হচ্ছেন।

আমেরিকা সফরের আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিভিন্ন বিষয়ে গভীর, অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য এই সফরের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দৃঢ় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শুধু এই দুদেশের পক্ষে নয়, গোটা বিশ্বের পক্ষেই মঙ্গলজনক।

ভারত-নেদারল্যান্ডস কূটনৈতিক সম্পর্কের এটি ৭০ বছর। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডাচ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দুদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান তিনি। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যুতেও তাঁদের আলোচনা হবে।