ওয়াশিংটন:  মহাকাশে ভবিষ্যতে অনেক দূরপাল্লার যাত্রার পরিকল্পনা নিচ্ছে নাসা। এরইমধ্যে রয়েছে মঙ্গলে মানুষ পাঠানো। কিন্তু সে তো অনের দিনের পথ। একজন মহাকাশচারীর এজন্য দরকার প্রয়োজনীয় খাদ্য। সেই খাদ্য তিনি যাতে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এজন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)-এ লেটুস শাক চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে নাসা। মহাকাশে কীভাবে তাজা খাবার তৈরি করা যায়, তা শিখতেই এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগ। পৃথিবীতে কৃষকরা যেভাবে সবুজ সব্জি চাষ করেন ঠিক সেভাবেই আইএসএস-এ থাকা নভশ্চররা লাল লেটুস শাক ফলানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে আইএসএস-এ ফলন হবে লেটুসের। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে এই নিয়ে তৃতীয়বার গাছের চাষ হচ্ছে। নাসা সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে।
নাসা-র মহাকাশচারী শ্যেন কিম্বোরো এই ভেজ-৩ এক্সপিরিমেন্ট শুরু করেছেন। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা গবেষণাগারে নতুন ক্রু সদস্য হিসেবে এই দায়িত্ব নিয়ে গিয়েছেন কিম্বারো।
মহাকাশে তাজা শষ্য চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতেই এই গবেষণা। কিম্বারো আইএসএস-এ লেটুস ফলানোর কাজ করছেন। আর ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্রের এক্সপেরিমেন্ট মনিটারিং এরিয়া থেকে ভেজ টিমের সদস্যরা সেদিকে নজর রেখে চলেছেন।
মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের আবর্তনরত গবেষণাগার থেকে লাইভ ভিডিও ডাউনলিঙ্কের সাহায্যে নাসার বিজ্ঞানীরা সমগ্র প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছেন।
নাসা-র ভেজি প্রোজেক্ট ম্যানেজার নিকোল দুফোর বলেছেন, লেটুস ফলানোর কাজ দারুন হল। একটু ধীরে হয়েছে। বীজ বপনের কাজটা ঠিকঠাকাই হয়েছে। মাটি, সার ও বীজ ছোট ছোট পাউচে ভরে আইএসএস-এ পাঠানো হয়েছে। সেখানে নভশ্চররা সেগুলি রেখে জল দিয়েছেন।
দুফোর জানিয়েছেন, চার সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর কিছু পাতা পরবর্তী সময়ের চাষের জন্য এবং সম্ভাব্য বৈজ্ঞানিক নমুনা হিসেবে বেছে রাখা হবে। বাকি পাতা গাছের সঙ্গেই থাকবে এবং বাড়বে এবং আরও বেশি পাতা গজাবে।
এভাবে মহাকাশে লেটুসের চাষ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করে দুফোর বলেছেন, এতে করে মহাকাশচারীদের তাজা ও পুষ্টিকর খাদ্য যোগানের বন্দোবস্ত করা যাবে।