নয়াদিল্লি: ইঞ্জিন বিভ্রাটেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। নেপালের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স (Black Box) থেকে মিলল এমনই তথ্য। শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিনের গন্ডগোলের কারণেই এমনটা হয়েছে। সোমবার পাওয়া রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে। 


নেপাল সরকার নিয়োজিত একটি প্যানেল ওই দুর্ঘটনার তদন্ত করেছে। তাতেই জানা গিয়েছে, ওই বিমানটির ইঞ্জিনে শেষে কোনও Thrust Motion ছিল না। গত ৩ দশকে এটা নেপালের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ছিল। ওই বিমানটি নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্স (Yeti Airlines) পরিচালনা করত। 


কী তথ্য মিলেছে:
ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে জানা গিয়েছে, ২টি ইঞ্জিনেক প্রপেলার কোনও কাজ করেনি শেষদিকে। অর্থাৎ ইঞ্জিনে কোনও Thrust ছিল না। অর্থাৎ কোনও শক্তি উৎপন্ন করতে পারেনি।


পুরনো ও নতুন বিমানবন্দরের মাঝে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। দুর্ঘটনাস্থল পশ্চিম নেপালে অবস্থিত। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের যে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল সেটি জোড়া ইঞ্জিনের ATR 72 বিমান। নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ নেপাল (CAAN) জানিয়েছে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের 9AN-ANC ATR-72 কাঠমান্ডু থেকে সাড়ে দশটা নাগাদ উড়ান দিয়েছিল। পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল বিমানটির। সেটিই সেতি নদীর পাশে ভেঙে পড়ে। বিমানটি অবতরণের আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেইসময় বিমানটি ৩২ হাজার ফুট ওপরে ছিল। বিমান চালক ATC-র সিগনাল পাওয়ার পর, বিমানটি আচমকা দ্রুত গতিতে নীচে নেমে আসে। ভেঙে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে গিয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১ জানুয়ারি চিনা সহায়তায় তৈরি পোখরা বিমানবন্দরটির উদ্বোধন হয়েছিল। উদ্বোধন করেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ৫ ভারতীয় ছাড়াও বিমানে ছিলেন ৫৩ জন নেপালি এবং ৪ জন রুশ নাগরিক। দক্ষিণ কোরিয়ার ২ জন, আর্জেন্তিনাা, ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ডের ১ জন করে নাগরিক।


ঘটনার পর ভারতে থাকা নেপালের দূতের তরফে শোকপ্রকাশ করে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়, ৭২ জন যাত্রী ও ক্রু মেম্বার বহনকারী বিমানের দুর্ঘটনার খবর গভীরভাবে ব্যথিত। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে কয়েকজন ভারতীয়ও ছিলেন। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। যাঁরা এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের জন্য প্রার্থনা জানাই।


আরও পড়ুন: বদলাবে ভাবমূর্তি ? আদানি ট্রান্সমিশনে ৪৭৮ কোটি টাকা লাভ, ৭৩ শতাংশ মুনাফা