আঙ্কারা : এক নয়, দুই নয় তিন তিনবার। ভয়াবহ ভূমিকম্পের (Turkey Earthquake) তিনবারের ছোবলে কার্যত লন্ডভন্ড তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। যেদিকে চোখ যাচ্ছে সেদিকেই যেন শুধু লাশের পাহাড়। কান্না, বাঁচার আর্তিতে ক্রমশ আরও ভারী হচ্ছে পরিবেশ। সময় যত এগোচ্ছে, ততই যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ২ হাজার ৩০০ জন। সংবাদসংস্থা এপি সূত্রে মিলছে যে খবর। মৃত্যুমিছিল ঠিক কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়ে নেই কোনও আশার বাণী, বরং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ। 


তিনবার ভূমিকম্প


প্রথমবার রিখটার স্কেলে ৭.৮। তারপর ৭.৬ ও তৃতীয়বার ৬.০। পরপর তিনটি ছোবল দিয়েছে দিয়েছে ভূমিকম্প। তুরস্ক যে ভূমিকম্পের প্রাণঘাতী আক্রমণের জেরে কার্যত পরিণত হয়েছে মৃত্যুনগরীতে। শুধু তুরস্কই নয়, প্রভাব পড়েছে সিরিয়াতেও। ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকা। যা সিরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে সেখানেও। শুধু তুরস্ক বা সিরিয়াই নয়, প্রবল ভূমিকম্পের মাত্রা নাড়া দিয়েছে পার্শ্ববর্তী লেবানন, ইজরায়েলের মতো দেশকেও। তুরস্ক অঞ্চলে এহেন জোরাল ভূমিকম্পের আঘাত ও তার জেরে এহেন মৃত্যুমিছিল আগে কখনও হয়েছে কি না, মনে করতে পারছেন না কেউই। 


চারিদিকে লাশের সারি, কান্না


সময় যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে এই মুহূর্তে যে সংখ্যা ২ হাজার ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি। যত বেশি বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা হচ্ছে, ততই বেরিয়ে আসছে নিস্তেজ, নিথর মানুষদের দেহ। চারিদিকে শুধু কান্না, স্বজন হারানোর শোক ও ধ্বংসস্তূপের ধুলোকণা মেশানো ভারী এক বাতাস।






শোকবার্তা সব দেশের


তুরস্কের ইতিহাসে কার্যত সবথেকে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের আঘাতের পর থেকেই কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধারকাজ। একই অবস্থা সিরিয়াতেই। তুরস্কের মানুষের এই অত্যন্ত কঠিন সময়ে সোশাল মাধ্যম কার্যত ভেসে যাচ্ছে সমবেদনা, শোকের বার্তায়। বিভিন্ন দেশের দেশনায়করা তুরস্কের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তাঁদের শোকবার্তা জারি করেছেন। 


দেখুন- তুরস্কে প্রবল ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭ দশমিক ৮