কাঠমান্ডু: ৭১ জন যাত্রী ও বিমানকর্মীর মধ্যে বেঁচে ফিরেছেন মাত্র ২২ জন। বাকি ৪৯ জনের ভাগ্য অতটা সুপ্রসন্ন হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত যাত্রীরা এক বাক্যে জানাচ্ছেন, তাঁদের জীবন ফিরে পাওয়া অলৌকিক, যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটে, বাঁচার কোনও আশা ছিল না।
সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়ে ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি। প্রাণে বেঁচেছেন বাংলাদেশের স্বর্ণা। জানাচ্ছেন, যেভাবে তাঁর নাকে মুখে ধোঁয়া ঢুকে গিয়েছিল বাঁচার আশা ছিল না। কিন্তু তাঁর স্বামী বিমান থেকে টেনে বার করেন তাঁকে, তারপরই বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে যায় গোটা বিমান।
সৌভাগ্যবান নেপালের বাসিন্দা কেশব পান্ডেও। তাঁর কথায়, খুব বেশি মানুষ বিমান দুর্ঘটনায় পড়েও প্রাণে বেঁচেছেন বলে তিনি শোনেননি, তাঁর ফিরে আসা অলৌকিক ঘটনা ছাড়া কিছু নয়। তাঁর ধারণা, খোলা মাঠে বিমানটি আছড়ে পড়াতেই বেঁচে গিয়েছেন তিনি, দুর্ঘটনায় বিমান টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার সময় তিনি কোনওভাবে বাইরে ছিটকে পড়েন।
দুজনেই জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ থেকে ঠিকঠাকই রওনা দিয়েছিল বিমানটি। কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার আগে তা মারাত্মক দুলছিল, ডাইনে বাঁয়ে কাঁপছিল, তারপর বোমা ফাটার মত শব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে।
বেঁচে ফেরা যাত্রীদের মধ্যে ২ জন বাড়ি ফিরেছেন, বাকিদের কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
তাঁদের বেঁচে থাকা অলৌকিক কাণ্ড ছাড়া কিছু নয়, বলছেন নেপাল বিমান দুর্ঘটনার জীবিত যাত্রীরা
ABP Ananda, Web Desk
Updated at:
14 Mar 2018 07:23 PM (IST)
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -