ওয়েলিংটন : প্রায় এক যুগের প্রচেষ্টার পথে আরও একধাপ এগলো নিউজিল্যান্ড। দেশে এবার সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই দেশটি। যার ফলে, দেশের তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান থেকে বিরত রাখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত এই বিষয়টি আগামী বছরেই আইনে পরিণত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে ধূমপানের বয়স বাড়াবে নিউজিল্যান্ড। ২০২৩ সাল থেকেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাবে দেশটি। যার মাধ্যমে ১৫ বছরের কম বয়সি যারা রয়েছে, তারা সারাজীবন আর এখানে সিগারেট কিনতে পারবে না। এই ভাবে চললে, ২০৫০ সাল নাগাদ ৪২ বা তার বেশি বয়স্করা, তামাকজাত এই দ্রব্য কিনতে পারবে , কিন্তু তার কম বয়সিরা নয়।
বৃহস্পতিবার সংসদে সেদেশের অ্যাসোসিয়েট হেল্থ মিনিস্টার আয়েষা ভেরাল্ল বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, তরুণরা যেন ধূমপান শুরু না করে। সেই লক্ষ্যে আগামীদিন তরুণ প্রজন্মকে এই জাতীয় তামাকের বিক্রি বা জোগান অপরাধ হিসেবে আমরা গণ্য করব। এই মুহূর্তে যাদের ১৪ বছর বয়স, আইন চলে এলে আগামীদিনে তারা আইনসম্মতভাবে কোনওভাবেই নিউজিল্যান্ডে তামাক কিনতে পারবে না।
নিউজিল্যান্ডে ধূমপানের মাত্রা কমানোর জন্য বৃহস্পতিবার যেসব প্রস্তাবের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম। এর আগে ২০১১ সালে প্রথম এই লক্ষ্যমাত্রার কথা ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ড। তার পর থেকেই সেদেশে ধীরে ধীরে সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যা বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিকে মূল্যধারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। নিউজিল্যান্ডের মুদ্রায় এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ৩০ নিউজিল্যান্ড ডলার। এর আগে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
যদিও চিকিৎসক ভেরাল্ল বলছেন, শুল্ক মূল্য বাড়ানোর পূর্ণাঙ্গ প্রভাব আমরা দেখে নিয়েছি। আরও বাড়ালে যে মানুষ সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেবে এমনটা নয়। বরঞ্চ যারা এই অভ্যাসটা বজায় রাখতে সমস্যায় পড়ছে, তাদের কাছে বিষয়টি আর একটু শাস্তিমূলক হবে, ব্যস শুধু এটুকুই।