রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনের নিরস্ত্রীকরণ কমিটিকে কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ যাদের সেই ৭০-এর দশক থেকে সারাক্ষণ সরাসরি পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে চলেছে আমেরিকা। তাই তাদেরও আত্মরক্ষার্থে পরমাণু অস্ত্র তৈরির অধিকার রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করতে সারাক্ষণ গোপনে ছক কষে চলেছে আমেরিকা। তারা প্রতি বছর পরমাণু অস্ত্রশস্ত্র সহযোগে সামরিক মহড়া করে। কিন্তু এই ছক আরও বিপজ্জনক।
তাই বাধ্য হয়ে উত্তর কোরিয়াও গুছিয়ে নিয়েছে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার। তাদের রয়েছে পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, নানা পাল্লার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল। কিমের হুঁশিয়ারি, গোটা আমেরিকা ভূখণ্ড তাঁদের অস্ত্রের আওতায় পড়ে, যদি তারা উত্তর কোরিয়ার জমির ১ ইঞ্চিও দখলের চেষ্টা করে, তবে বিশ্বের যে কোনও এলাকায় গিয়ে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
আমেরিকা অবশ্য দাবি করেছে, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তিরক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছে তারা। তাদের কথায়, প্রথম বোমা না পড়া পর্যন্ত কূটনৈতিকভাবে উত্তর কোরিয়া সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে।
রুশ প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকালই জানিয়েছেন, তাঁর দেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা মেনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আর্থিক, বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য সম্পর্কে কাটছাঁট করছে। পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নও নতুন করে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে।
পিয়ংইয়ং পরিষ্কার করে দিয়েছে, আন্তর্জাতিক দুনিয়া যতই চাপ দিক, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে তারা হাঁটবে না। উত্তর কোরিয়া গোটা দুনিয়া থেকে পরমাণু অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূলকরণের পক্ষে। কিন্তু যতক্ষণ না আমেরিকা সেই পথে হাঁটছে ও উত্তর কোরিয়াকে হুমকি দেওয়া আর ব্ল্যাকমেল করা বন্ধ করছে, ততক্ষণ তাদের পক্ষেও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। বলেছে পিয়ং ইয়ং।