নয়াদিল্লি: এক প্রবাসী ভারতীয় পরিবারের পুত্রসন্তানের আইনি হেফাজত নিয়ে কঠোর অবস্থান নিল ভারত।


সম্প্রতি, ভারতীয় নাগরিক গুরবিন্দরজিত কৌর এবং তাঁর নরওয়েজীয় স্বামী অভিযোগ করেন, অত্যাচারের মিথ্যে অভিযোগ এনে সেদেশের শিশু কল্যাণ পরিষেবা সংস্থা তাঁদের সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলে আরিয়ানকে (জন্মসূত্রে নরওয়েজীয় নাগরিক) নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে।


এই প্রসঙ্গে বিহিত চেয়ে তিনি বিদেশমন্ত্রকের সাহায্য চান। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিস্তর জলঘোলা হয়। এদিনই (ভারতীয় সময় বুধবার) আরিয়ানের হেফাজত ফেরত চেয়ে নরওয়েজীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত।


তার আগে মঙ্গলবার, বিদেশমন্ত্রী নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, তিনি চান ওই বালক তার আপন বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাক। এদিন টুইটারে সুষমা লেখেন, আমি বিশ্বাস করতে রাজি নই যে, আসল বাবা-মায়ের থেকে সেখানকার পালক অভিভাবক বালকের ভাল খেয়াল রাখবে।


সুষমা যোগ করেন, পালক বাবা-মা ভারতীয় সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আমরা চাই, আরিয়ান ওর বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসুক। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগে বহুবার নরওয়েতে এমন ঘটনা ঘটেছে।


২০১১ সালে সাড়ে তিন বছর এবং এক বছরের দুই শিশুকে তাদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের হস্তক্ষেপে সেদেশের আদালত ২ জনকে তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফেরত দেয়।


তারপর ২০১২ সালেও এক ভারতীয় দম্পতির জেল হলে তাদের সাত এবং ২ বছরের ২ শিশুসন্তানকে হায়দরাবাদের দাদু-দিদার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।