ওয়াশিংটন: অরল্যান্ডোর পালস্  নামের সমকামী নাইটক্লাবে গণহত্যা চালানো আততায়ী ওমর মতিন হামলা চালানোর সময় ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট করেছিল। সেখানে সে ‘পশ্চিমী অশ্লীলতা’ নিয়ে লেখে। এমনই দাবি করেছেন মার্কিন সেনেটর তথা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং গভর্নমেন্টাল অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত সেনেট কমিটির চেয়ারম্যান রন জনসন। এই প্রসঙ্গে, তিনি ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গের সহযোগিতা চেয়েছেন।


মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে নাইটক্লাবে হামলা চালানোর সময়ে ২৯ বছরের মতিন কম করে ১৬টি ফোন করেছিল। এর মধ্যে তিনটি ফোন করা হয়েছিল পুলিশের আপৎকালীন ৯১১ নম্বরে। একটি করা হয়েছিল স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে।

জুকেরবার্গকে লেখা চিঠিতে জনসন জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস মতিন হামলার সময় ফেসবুক ব্যবহার করেছিল। এই প্রেক্ষিতে তিনি এই তদন্তে ফেসবুকের সহযোগিতার অনুরোধ করেন। রন জানান, অতীতে ফেসবুক বিভিন্ন ঘটনায় মার্কিন প্রশাসনের সহযোগিতা করেছে। ফলে, তিনি আশবাদী, এবারও ফেসবুক তাদের নিরাশ করবে না।

রন জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ওমর মতিনের সঙ্গে যুক্ত। সেগুলি থেকে মতিন হামলা চালাতে চালাতেই ফেসবুকে সেই সংক্রান্ত খবর জানার জন্য সার্চ করে। মতিন ফেসবুকে ‘পালস অরল্যান্ডো’ এবং ‘শ্যুটিং’ টাইপ করে সার্চ করে। এমনই দাবি করেছেন রন।

শুধু তাই নয়, মতিন নিজের ফেসবুকে লেখে, ‘ইসলামিক স্টেটের ওপর বোমাবর্ষণ বন্ধ কর আমেরিকা ও রাশিয়া।..আমি আবু বকর আল বাগদাদির প্রতি আমার আনুগত্য জানচ্ছি...আশা করি আল্লাহ আমাকে গ্রহণ করবে।’ মতিন আরও লেখে, ‘সত্যিকারের মুসলিমরা পশ্চিমী অশ্লীলতা কখনই মেনে নেবে না... তোমরা বিমানহানার মাধ্যমে নিরীহ মহিলা ও শিশুকে মেরেছ। এখন ইসলামিক স্টট-এর বদলা দেখো।’ সর্বশেষ পোস্টে মতিন লেখে, ‘তোমরা দেখতে পাবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মার্কিন মাটিতে কেমন ভাবে আরও আঘাত হানবে ইসলামিক স্টেট।’

ফেসবুককে লেখা চিঠিতে রন জানিয়েছেন, তাঁর দফতরের কর্মীরা জানতে পেরেছেন, মে মাসে মতিন ফেসবুকে স্যান বার্নার্ডিনো জঙ্গিদের খোঁজ করে। গত ৪ জুন সে বাগদাদির বক্তৃতারও খোঁজ চালায়। পাশাপাশি, ফেসবুকের মাধ্যমে এফবিআই-এর বিভিন্ন কাজের খোঁজও রাখত মতিন। এই সব নিয়ে জুকেরবার্গের দ্বারস্থ হয়েছেন রন জনসন। ফেসবুকে মতিনের যাবতীয় কার্যকলাপের রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।