লাহোর: পঠানকোট হামলার হ্যান্ডলার উধাও! গত ২ জানুয়ারি পঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে হামলা করা জঙ্গিদের ফোনে জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর যে নেতা ঘনঘন নির্দেশ পাঠাচ্ছিল বলে অভিযোগ, সে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তান পালিয়েছে বলে দাবি। পঠানকোটের ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানে তৈরি যৌথ তদন্ত দলের এক সদস্য এমন তথ্য দিয়েছেন।


 

তিনি বলেছেন, কুড়ির কোঠায় বয়স ওই জয়েশ হ্যান্ডলারের। সে পঠানকোট হামলার সময় পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ছিল। সেখান থেকে সে প্রায় ১৮ বার পঠানকোটে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে সেই জয়েশ নেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। তবে বলেছেন, আইন প্রনয়ণকারী সংস্থাগুলি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ওকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সে আফগানিস্তান পালিয়ে গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ঘটনাচক্রে জয়েশ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার জেরায় দাবি করেছিল, পঠানকোট অভিযানের হ্যান্ডলার কিছুদিন আগে তাদের সংগঠন ত্যাগ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র পিটিআইকে বলেছে, আজহার ওই জয়েশ সদস্যকে নির্দোষ প্রমাণে ওকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে।

 

তদন্তকারীরা ‘প্রবল চাপে’র মধ্যে রয়েছেন, পঠানকোট হামলার বিস্তারিত তদন্ত করে ‘আসল সত্য’ সামনে আনতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, বলেন ওই যৌথ তদন্ত দলের সদস্যটি। কেননা পঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগ পঠানকোট হামলায় অভিযুক্ত ও তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেও একজনকেও এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পথে আচমকা পাকিস্তানে নামেন মোদী। সেদিন ছিল পাক প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন, সেইসঙ্গে তাঁর নাতনীর বিয়েও। শুভদিনে মোদীর সেখানে থাকা দুটি দেশের সম্পর্কে সুদিন আনবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তার কয়েকদিনের মাথায় ঘটে যাওয়া পঠানকোট হামলা সেই আশায় জল ঢেলে দেয়।

পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ পরে জানান, পঠানকোটে হানা দেওয়া সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহার করা ফোনগুলির একটির নম্বরের সঙ্গে যোগসূত্র মিলেছে বাহওয়ালপুরে জয়েশের সদর দফতরের।

ভারতের দাবি, পঠানকোট হামলার আসল মাথা মাসুদ আজহার। তাকে ১৪ জানুয়ারি থেকে সুরক্ষামূলক হেফাজতে রেখে দিয়েছে পাক প্রশাসন। আজিজের দাবি, উপযুক্ত প্রমাণ মিললেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।