ইসলামাবাদ: ভারত নিউইয়র্কে দুদেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেও পরদিন বাতিল করে দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ইমরান খানের। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩ পুলিশকর্মীর নৃশংস হত্যার পাশাপাশি পাকিস্তানের নিহত হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানিকে মহান করে তুলে ধরে ডাকটিকিট বের করার বিরোধিতা করে ভারত গতকাল ওই প্রস্তাবিত বৈঠক বাতিল করে। ঠিক ছিল চলতি মাসেই নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে মুখোমুখি কথা বলবেন সুষমা স্বরাজ, শাহ মেহমুদ কুরেশি। গতকাল বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বৈঠক বাতিল বলে জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানের মদতপু্ষ্ট লোকজনের হাতে আমাদের নিরাপত্তাকর্মীদের সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও একটা সন্ত্রাসবাদীকে হিরো করে ২০টা ডাকটিকিট প্রকাশের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, পাকিস্তান আর শুধরোবে না। ঘটনাগুলি থেকে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘আসল মুখ’, আলোচনার প্রস্তাবের আড়ালে পাকিস্তানের নোংরা এজেন্ডাও গোটা দুনিয়ার সামনে প্রকট হয়ে উঠেছে। দুটি ‘গভীর উদ্বেগজনক, বিচলিত করার মতো’ ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা ‘অর্থহীন’ হয়ে উঠবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কে কোনও আলোচনা হবে না ভারত, পাকিস্তানের।
ইমরান পাল্টা ট্যুইট করেছেন, শান্তি আলোচনা ফের শুরুর জন্য আমার ডাকে ভারত যে উদ্ধত, নেতিবাচক জবাব দিল, তাতে হতাশ আমি। তবে আমার গোটা জীবনে এরকম অনেক ক্ষুদ্র লোককে দেখেছি যারা বড় পদে বসে রয়েছে, কিন্তু বৃহত্তর প্রেক্ষাপটটা বোঝার মতো দূরদর্শিতা তাদের নেই।
পাক বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ফয়সল গতকালই দাবি করেন, ভারতের বক্তব্যে যে তথাকথিত উদ্বেগজনক ঘটনাবলীর কথা বলা হয়েছে, সেটা কিন্তু নিউ ইয়র্কে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্মতি জানানোর আগে ঘটেছে। বিএসএফ জওয়ানের হত্যার যে অভিযোগ উঠেছে, তা বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে ভারতের সম্মতি ঘোষণার দুদিন আগের। সে ঘটনায় পাকিস্তানের যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠামাত্রই পাক রেঞ্জার্সের তরফে বিএসএফকে সরকারি চ্যানেল মারফত বলে দেওয়া হয়, এতে তাদের কোনও হাতই নেই।