লাহৌর: পাকিস্তানের আইনসভার উচ্চকক্ষ সেনেটের একটি আসনের নির্বাচনে কোহলি সম্প্রদায়ের মহিলা কৃষ্ণা কুমারীকে প্রার্থী করল পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি)। সিন্ধ প্রদেশের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সেনেটের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসনে ৩৯ বছর বয়সি এই মহিলাকে প্রার্থী করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কৃষ্ণার মনোনয়ন গ্রহণ করেছে। ৩ মার্চ নির্বাচন। কৃষ্ণা জিতলে তিনিই পাকিস্তানের সেনেটের প্রথম হিন্দু মহিলা সদস্য হবেন।

পিপিপি-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কৃষ্ণাই পাকিস্তানের প্রথম দলিত মহিলা হিসেবে সেনেটর হতে চলেছেন। এর আগে প্রথম অমুসলিম সেনেটরকেও নির্বাচিত করেছিল পিপিপি। ২০০৯ সালে সাধারণ আসন থেকে লড়াই করে সেনেটর নির্বাচিত হন ড. খাতুমল জীবন। ২০১৫ সালে দ্বিতীয় দলিত হিসেবে সেনেটর নির্বাচিত হন ইঞ্জিনিয়র গিয়ানচন্দ। তিনিও সাধারণ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে সিন্ধে অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত কেন্দ্র থেকে হরিরাম কিশোরীলালকে প্রার্থী করে জিতিয়ে আনে পিপিপি। এবার কৃষ্ণা এবং খ্রিস্টান প্রার্থী আনোয়ার লালডিন জয়ী হলে সেনেটে অমুসলিম পিপিপি সদস্যর সংখ্যা বেড়ে হবে ৬। গত ৭০ বছরে আর কোনও রাজনৈতিক দল এতজন অমুসলিমকে সেনেটে নির্বাচিত করেনি।’

১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিন্ধ প্রদেশের থর জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম নাগরপার্কারে জন্ম হয় কৃষ্ণার। তাঁর বাবা ছিলেন গরিব কৃষক। কৃষ্ণা যখন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, তখন তাঁদের পরিবারের সবাইকে ব্যক্তিগত কারাগারে বন্দি করেন এক মহাজন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৬ বছর বয়ে কৃষ্ণার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরেও পড়াশোনা বজায় রেখে ২০১৩ সালে সিন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার ডিগ্রি করেন তিনি। জন্ম থেকেই লড়াই করে চলা এই মহিলা এবার নয়া নজির গড়তে চলেছেন।