ইসলামাবাদ: চরবৃত্তির দায়ে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকে দেখা করতে দেবে ইসলামাবাদ। মানবিকতার খাতিরে কুলভূষণের মা অবন্তিকাকে ভিসা দিতে পাকিস্তানের কাছে অনুরোধ করেছিল ভারত। ছেলের সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়ে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, একেবারেই মানবিক কারণে কমান্ডার কুলভূষণকে পাকিস্তানে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের মাটিতেই দুজনের সাক্ষাত্ হবে। এ ব্যাপারে আজই ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

পাকিস্তান এর আগে বারবার কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার আবেদন নাকচ করে, যুক্তি দেয়, চরবৃত্তির মামলায় এ জাতীয় সুবিধা দেওয়া যায় না। তাই ঠিক কী কারণে পাক সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল, তা এখনও পরিষ্কার নয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পাক দৈনিক দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ, এমন জল্পনা রয়েছে যে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত নবনিযুক্ত পাক হাইকমিশনার সোহেইল মাহমুদের মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। চরবৃত্তি, সন্ত্রাসবাদ, নাশকতা ঘটানোর অভিযোগে প্রাক্তন ভারতীয় নৌ অফিসার কুলভূষণকে গত এপ্রিলে দোষী ঘোষণা করে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত। তবে গত মে মাসে ভারতের আবেদন মে তাঁর সাজা কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক ন্যয় আদালত।
কুলভূষণ পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার কাছে রেহাই চেয়ে আবেদন করেছিলেন, যা এখনও বকেয়া রয়েছে। গত মাসে পাক সেনা জানিয়েছিল, কুলভূষণের ওই আবেদনের ব্যাপারে শীঘ্রই ফয়সলা হতে চলেছে।
পাকিস্তানের দাবি, তাদের নিরাপত্তা বাহিনী গত বছরের মার্চে তাঁকে অশান্ত বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করে। তিনি ইরান থেকে সেখানে ঢুকেছিলেন। পাল্টা ভারত জানায়, ইরানে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর সেখানে আসা যাওয়া করতেন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়।