ইসলামাবাদ: ভারতে চরবৃত্তি, নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন সংক্রান্ত তথ্য পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে নয়াদিল্লির পাকিস্তান হাই কমিশনের ভিসা বিভাগের অফিসার মেহমুদ আখতারকে আটক, বহিষ্কারের জবাব? এবার সীমান্তের ওপারে ভারতীয় হাইকমিশনের অন্তত দুজন কর্তার বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হল। ভারতীয় হাই কমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রাজেশ অগ্নিহোত্রী ও প্রেস কাউন্সেলর বলবীর সিংহ নামে ওই দুই আধিকারিককে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে বলে খবর জিও টিভি-র। তাঁদের ছবি সব এ খবর ফলাও করে সম্প্রচারিত করা হচ্ছে বিভিন্ন পাক টিভি চ্যানেলে। তবে নয়াদিল্লির খবর, ওই দুজনকে পাকিস্তান 'অবাঞ্ছিত' ঘোষণা করার আগে ভারতই তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে।


কয়েকটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জিও টিভি-র খবর, হাইকমিশনের কর্মী  পরিচয়ের আড়ালে অগ্নিহোত্রী ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্তা র-এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, আর বলবীর পাকিস্তানে ভারতের ইনটেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)-র হয়ে কাজ করছেন। এমনকী বলবীর পাকিস্তানে যে সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিলেন,  সেই চক্রেই ছিল সুরগীত সিংহ নামে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশনের বহিষ্কৃত হওয়া কর্মী।

প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লির পাক হাই কমিশনের অফিসার মেহমুদ আখতার ধরা পড়ার পর ভারতে পাকিস্তানের চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের শিকড় যে কতটা ছড়িয়েছে, তা ক্রমশ বেরিয়ে পড়ে। পুলিশি জেরায় মেহমুদের রেকর্ড করা বিবৃতিতে রাজধানীর পাক হাইকমিশনের অন্তত চার অফিসারের নাম রয়েছে, যাঁরা চরবৃত্তিতে যুক্ত। সৈয়দ ফারুক হাবিব, খাদিম হুসেইন, মুদাসির চিমা ও শাহিদ ইকবাল নামে ওই চারজনকে পাকিস্তান ফিরিয়ে নিতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছিল। সর্বশেষ খবর, নয়াদিল্লির হাইকমিশনের ৬ জন কর্মীকে পাকিস্তান দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাঁরা হয় দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বা তার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। পাক হাই কমিশন সূত্রের বক্তব্য, আমাদের কূটনীতিকদের ভয় দেখাচ্ছে, ব্ল্যাকমেল করছে ভারত সরকার। তাঁদের পক্ষে এ দেশে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।