লাহোর: ২৪ অক্টোবর থেকে আরও ৩০ দিনের জন্য গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ বাড়ল মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সঈদের। তবে হাফিজের চার সহযোগী আবদুল্লা উবেইদ, মালিক জফর ইকবাল, আবদুল রহমান আবিদ ও কাজি কাসিফ হুসেনের বেলায় একই সিদ্ধান্ত নেয়নি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের জুডিয়িশাল রিভিউ বোর্ড। ফলে অন্য কোনও মামলায় আটক না হলে গৃহবন্দি থাকার চলতি মেয়াদ শেষে ২৫ অক্টোবর ছাড়া পেতে পারে তারা।


এদিন লাহোর হাইকোর্টে বিচারপতি ইয়াওয়ার আলি, বিচারপতি আবদুল সামি ও বিচারপতি আলিয়া নিলমকে নিয়ে গঠিত জুডিশিয়াল রিভিউ বোর্ডের সামনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তোলা হয় সঈদ ও বাকিদের। সঈদের কিছু অনুগামী, সমর্থক আদালত চত্বরে জড়ো হয়ে তাঁদের ওপর পুষ্পবৃষ্টি করে, তাঁর হয়ে স্লোগানও দেয়।

আদালতের জনৈক অফিসার সংবাদসংস্থাকে জানান, পঞ্জাব সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর জনসুরক্ষা আইনে তিন মাস সঈদ ও বাকিদের গৃহবন্দি রাখার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানায়। তবে সরকারি কৌঁসুলির সওয়াল শোনার পর বোর্ড  লাহোরে সঈদের আটক থাকার মেয়াদ মাত্র ৩০ দিন বাড়ানোয় সম্মতি দেয়। বোর্ড সঈদের চার সঙ্গীকে ২৫ সেপ্টেম্বরের পর আরও এক মাস গৃহবন্দি রাখার যৌক্তিকতা দেখতে পায়নি, ওদের বন্দিদশার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

আইন অনুসারে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগে কাউকে সরকার আটক রাখতে পারে, তবে তারপরও আটকে রাখতে হলে জুডিশিয়াল রিভিউ বোর্ডের অনুমোদন লাগে।

গত শনিবার পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দপ্তর 'সন্ত্রাস দমন আইনে'র আওতায় সঈদ ও বাকিদের আটক রাখার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জুডিশিয়াল রিভিউ বোর্ড থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। এর কারণ সম্পর্কে পঞ্জাব সরকার জানায়, যেহেতু সঈদ ও বাকিদের আটক থাকার মেয়াদ এ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ১৯৬০ সালের জনসুরক্ষা আইনে ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে, তাই সন্ত্রাস দমন আইনে ওদের গৃহবন্দি রাখার মেয়াদ আর বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

এ বছরের ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৭-এর সন্ত্রাস দমন আইনে ৯০ দিনের জন্য সঈদ ও তাঁর ৪ সঙ্গীকে আটক করে পঞ্জাব সরকার। তবে শেষ দুবার ওদের গৃহবন্দি রাখার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে জনসুরক্ষা আইনে।