করাচি: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে বিমস্টেক গোষ্ঠীর দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানালেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ডাকেননি নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে জল্পনা মাথাচাড়া দিলেও পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ার চেষ্টা করে বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ‘ঘরোয়া রাজনীতি’র বাধ্যবাধকতার জন্যই তাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাননি।
বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেকটোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কোঅপারেশন)-এর সদস্য বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপাল। পাকিস্তান এতে নেই।
এ প্রসঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, শপথ গ্রহণের সভায় থাকার চেয়ে কাশ্মীর সমস্যা, সিয়াচেন ও স্যর ক্রিক বিতর্কের মীমাংসায় আলোচনা-বৈঠক করা অর্থবহ হোত। কুরেশিকে উদ্ধৃত করে ডন নিউজ জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে উনি (প্রধানমন্ত্রী মোদি) পাকিস্তানের নিন্দায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। শীঘ্রই এই মানসিকতা থেকে উনি বেরিয়ে আসবেন, এমন প্রত্যাশা করাও ঠিক নয়। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্যই আমন্ত্রণ পাঠাতে পারলেন না তিনি।
২০১৪-য় তত্কালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ২৬ মে মোদির প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে হাজির হয়েছিলেন। সেবার সার্কভুক্ত দেশগুলিকে ডাকা হয়েছিল।
জিও নিউজকে কুরেশি বলেন, গত বছর মোদিও ইমরানকে ভোটে জয়ের পর অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তাঁকে চিঠিও দিয়েছিলেন।


পুলওয়ামা সন্ত্রাসে ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু, তারপর পাকিস্তানের বালাকোটে জয়েশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানার জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার আবহে মোদির বিপুল জনাদেশ পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত হওয়ার পর রবিবার তাঁকে ফোন করে দুদেশের জনসাধারণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার বাসনা প্রকাশ করে বরফ গলানোর ইঙ্গিত দেন ইমরান।
পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক আদানপ্রদানের ভিতের ওপরই বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক দাঁড়িয়ে থাকে এবং সৌহার্দ্যের বার্তা দিতেই মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান। আলোচনা ফের শুরুর রাস্তা খুঁজে বের করাও ওদের (ভারত) কাছে জরুরি। মোদি এই অঞ্চলের উন্নয়ন চাইলে সমাধানের খোঁজে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনাই তার একমাত্র উপায়। পাকিস্তান নিজের স্বার্থেই উত্তেজনার প্রশমন চায়, পাকিস্তান উত্তেজনার সৃষ্টি করেনি বলেও দাবি করেন কুরেশি।