ইসলামাবাদ: জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে টুকরো করার ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করার আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে চিঠি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির। পাক বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর। গত ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদী সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ-এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাঙার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। গত ৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
পাক বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাশ্মীর ইস্যু গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরার চলতি প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে ৩১ অক্টোবর কুরেশি নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুয়েত্রেসকে বিশদে আরেকটি চিঠি দিয়েছেন কুরেশি। বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আরও নানা বিষয়ের মধ্যে কুরেশি তাতে উল্লেখ করেছেন যে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাজন প্রত্যাখ্যান করছে। পাকিস্তান ও ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীকে শক্তিশালী করার ডাকও ফের দিয়েছেন তিনি। যদিও ভারতের বরাবরের বক্তব্য, সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর ও নিয়ন্ত্রণরেখা চালু হওয়ার পর ১৯৪৯-এর জানুয়ারিতে গঠিত ওই গোষ্ঠীর বর্তমানে কোনও প্রাসঙ্গিকতা, প্রয়োজনীয়তাই নেই।
পাকিস্তানের অনুরোধে কুরেশির চিঠিটি রাষ্ট্রপু্ঞ্জের সদস্য দেশগুলির মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের সরকারি নথি হিসাবে বিলি করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে পাক বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, কুরেশি চিঠিতে লিখেছেন, ১, ৩, ১৩ ও ২৬ আগস্ট ও ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি যে চিঠিগুলি লিখেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতা বহন করছে তাঁর এই সর্বশেষ বার্তা। ওইসব চিঠিতে তিনি তার ‘বেআইনি বিভাজন’ ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় লাগাতার উত্তেজনা বৃদ্ধি সহ কাশ্মীরের সাম্প্রতিকতম ঘটনাবলীর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নিয়মিত বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আঞ্চলিক শান্তি, সুরক্ষায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে যে ক্রমশ খারাপ হতে চলা পরিস্থিতি, তার দ্রুত মোকাবিলা করতেও নিরাপত্তা পরিষদকে ডাক দিয়েছেন কুরেশি।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাজন খারিজ করুন, রাষ্ট্রপুঞ্জের শীর্ষকর্তাদের চিঠি পাক বিদেশমন্ত্রীর
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
19 Nov 2019 07:19 PM (IST)
পাক বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আরও নানা বিষয়ের মধ্যে কুরেশি তাতে উল্লেখ করেছেন যে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের বিভাজন প্রত্যাখ্যান করছে। পাকিস্তান ও ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীকে শক্তিশালী করার ডাকও ফের দিয়েছেন তিনি। যদিও ভারতের বরাবরের বক্তব্য, সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর ও নিয়ন্ত্রণরেখা চালু হওয়ার পর ১৯৪৯-এর জানুয়ারিতে গঠিত ওই গোষ্ঠীর বর্তমানে কোনও প্রাসঙ্গিকতা, প্রয়োজনীয়তাই নেই।
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -