প্রশান্তর বাবা বাবু রাও জানিয়েছেন, তাঁরা আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা। ৬ বছর আগে তাঁরা হায়দরাবাদে বসবাস করা শুরু করেন। প্রশান্ত প্রথম চাকরি পান বেঙ্গালুরুতে। সেই সংস্থাতেই কর্মরত একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা সেই মেয়েটি সুইৎজারল্যান্ডে চলে যাওয়ায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তিনি কীভাবে পাকিস্তানে চলে গেলেন, সে বিষয়ে পরিবারের লোকজনের কোনও ধারণা নেই।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ধড়িলাল নামে মধ্যপ্রদেশের এক বাসিন্দার সঙ্গে ১৪ নভেম্বর পঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর জেলায় গ্রেফতার হন প্রশান্ত। তাঁরা রাজস্থান সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না।
পাকিস্তানের পুলিশের কাছ থেকে তেলুগুতে কথা বলার অনুমতি নিয়ে বাবা-মার উদ্দেশে পাঠানো ভিডিও বার্তায় প্রশান্ত বলেন, ‘বাবা-মা, তোমরা কেমন আছো? কোনও সমস্যা না থাকায় আমাকে থানা থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাকে আদালত থেকে ফের জেলে পাঠানো হবে এবং ভারতীয় দূতাবাসকে খবর দেওয়া হবে। তারপর আমি তোমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব। আমাকে জেলে পাঠানো হলে জামিনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারত-পাকিস্তানের বন্দি বিনিময়ে সময় লাগবে।’
ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানাতে নয়াদিল্লির পাকিস্তানি দূতাবাসে যাচ্ছেন বাবু রাও। তার আগে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি শুধু এটুকুই জানি, আমার ছেলে কোনও বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের কাছে ওকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’