ইসলামাবাদ: বুকে পেসমেকার, স্টেন্ট বসিয়ে সুরাহা হয়নি। কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ভুগছেন। শেষমেষ ভারতে হার্ট প্রতিস্থাপন করতে চেয়ে সাহায্য প্রার্থনা করলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী হকি টিমের গোলরক্ষক মনসুর আহমেদ।
১৯৯৪-এ সিডনিতে বিশ্বকাপ হকির ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে পাকিস্তানকে জেতানোয় বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। তিনি পাক হকির আইকন হয়ে ওঠেন। বর্তমানে বয়স ৪৯। রোগশয্যায় শুয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৮৯-এ ইন্দিরা গাঁধী কাপে, আরও অন্যান্য ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে হয়তো অনেক ভারতীয়কে কষ্ট দিয়েছি, কিন্তু সেটা তো ছিল খেলার মাঠে। এখন ভারতে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে চাই। সেজন্য ভারত সরকারের সমর্থন প্রয়োজন।




২০০৮-এর মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাকিস্তান থেকে পাঠানো জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের অকাট্য প্রমাণ মেলায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সরাসরি খেলাধূলা, সংস্কৃতির আদানপ্রদানও কার্যত বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানবিকতার স্বার্থে পাকিস্তানিদের এদেশে চিকিত্সার জন্য আসায় নিষেধ নেই।
তাতেই আশার আলো দেখছেন ১৯৮৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৩৩৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, তিনটি অলিম্পিক ও আরও নানা ইভেন্টে খেলা মনসুর। বলেছেন, মানবিকতাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। ভারত সফরের ভিসা, অন্যান্য সাহায্য পেলে আমিও চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
ভারত-পাকিস্তান স্বাভাবিক সম্পর্ক মার খাওয়ার জন্য কাশ্মীর রাজনীতি, কূটনীতি যা-ই থাকুক কেন, খেলাধূলার মাধ্যমে সম্পর্ক ভাল করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। মনসুর বলেন, আমাদের মধ্যে দারুণ লড়াই আছে বটে, তবে নানা সময়ে খেলাধূলার ফলে লাভ হয়েছে। সেটা চালিয়ে যাওয়া উচিত।