নয়াদিল্লি: কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীর তকমা ছিল। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সৈয়দ। ভারতবিরোধী কাজের একাধিক প্রমাণও তুলে দিয়েছিল ভারত। তারপরেও পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে রয়েছে হাফিজ সৈয়দ, এমনই অভিযোগ করে এসেছে ভারত। এবার সেই জঙ্গিকেই কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পাকিস্তানের (Pakistan) আদালত। 


কী নির্দেশ:
২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে (Hafiz Saeed) ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। তার সঙ্গে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা (Fine) দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের এই জঙ্গি লস্কর-ই-তইবার মাথা। হাফিজের বিরুদ্ধে ২টি মামলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। হাফিজের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার  নির্দেশ দিয়েছে পাক আদালত। এর পাশাপাশি, হাফিজ সইদের ছেলে হাফিজ তলহা সইদকে জঙ্গি বলে ঘোষণা করল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। হাফিজের ছেলের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। 


বহুদিন ধরেই চাপে হাফিজ:
কয়েকবছর আগে থেকেই মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের উপর চাপ বাড়ছিল। ২০১৯ সালে পাক পাঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা  হাফিজ সইদ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে পঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন শহরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের পিছনে টাকাপয়সা জোগান দেওয়ার অভিযোগে ২৩টি এফআইআর (FIR) দায়ের করে। একাধিক ট্রাস্ট তৈরি করে অর্থ সংগ্রহ করে জঙ্গিগোষ্ঠীকে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ ছিল পাকিস্তানের উপর।


২০২০ সাল হাফিজ সইদের একাধিক আত্মীয়কে কারাদণ্ড দয়েছে পাকিস্তানের আদালত। ওই বছরেই অবৈধ তহবিল জোগানের মামলায় জামাত-উদ-দাওয়া-র প্রধান হাফিজ সইদকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাস-দমন আদালত (anti-terrorism court)। ২ হাফিজসঙ্গীও কারাদণ্ড হয়। গতবছরেই লাহোরে হাফিজের বাড়ির সামনে একটি বিস্ফোরণও ঘটে। সেই ঘটনায় কয়েকজন মারাও যান।


আরও পড়ুন: ক্রামাটর্সক স্টেশনে আছড়ে পড়ল রুশ রকেট, চার শিশু-সহ হত ৫০, আহত ৯০