ইসলামাবাদ: বেলা বাড়লে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে (Pakistan National Assembly) ভোটাভুটি (Trust Vote)। তার আগে দেশবাসীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ উদ্রেক করতে উদ্যোগী হলেন পাকিস্তানের (Pakistan Political Crisis) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। আর তা করতে গিয়ে ভারতের উদাহরণ টেনে আনলেন তিনি। ইমরানের অভিযোগ, ভারত সার্বভৌম দেশ হওয়ায় তাদের উপর ছড়ি ঘোরাতে পারে না বিদেশি শক্তি। তাই দেশবাসীকে ভারতের থেকে আত্মসম্মান বোধ শেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।


শনিবার ইমরানের বিরুদ্ধে আস্থাভোট পাক অ্যাসেম্বলিতে


শনিবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরানের বিরুদ্ধে আস্থাভোট। সেখানে ইমরানের পরাজয় নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছেন বিরোধীরা। তার আগে শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। তিনি বলেন, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে লাগাতার চাপ দিচ্ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা। ভারতের বিরুদ্ধে কিন্তু চোখ রাঙাতে পারেনি! কারণ ভারত একটি সার্বভৌম দেশ।”


আরও পড়ুন: Russia suspended from UNHRC: রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে সাসপেন্ড রাশিয়া, ভোটে কী অবস্থান নিল ভারত ?


যুদ্ধ নিয়ে যখন রাশিয়াকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই সময় মস্কো সফরে যাওয়াতেই তাঁর সরকার ফেলতে আমেরিকা কলকাঠি নাড়ছে বলে আগেও ইঙ্গিত দেন ইমরান। শুক্রবারও একই দাবি করেন তিনি। বলেন, “আমার রুশ সফরে অসন্তোষ বাড়ে আমেরিকার। আমেরিকার একজন প্রতিনিধি জানিয়ে দেন যে, ইমরান খানের সরকার পড়লে তবেই পাকিস্তানকে ক্ষমা করা হবে। তাবড় শক্তিধর রাষ্ট্র ভারতের উপর কিন্তু এ ভাবে ছড়ি ঘোরাতে পারবে না।কারণ ভারত নিজেকে নিয়ে গর্ববোদ করে।ভারতের থেকে আত্মসম্মান বোধ শেখা উচিত পাকিস্তানের।”


ফের বিদেশি ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ইমরানের


ইমরান জানিয়েছেন, তিনি আমেরিকা বিরোধী নন। কিন্তু তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার পিছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে অবশ্যই। ইমরানের অভিযোগ, দু’পক্ষের মধ্যে মিত্রতা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানে ৪০০-র বেশি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। চেষ্টা চালানো হয়েছে, বিরোধীদের সঙ্গে মিলে সরাসরি তাঁর সরকার ফেলার। অন্য রাষ্ট্রের স্বার্থপূরণে নিজের দেশের মানুষকে কোনও ভাবেই মরতে দেবেন না এবং দেশে সার্বভৌম বিদেশনীতি কার্যকর করবেন বলেও জানান ইমরান।


বৃহস্পতিবার পাক সুপ্রিম কোর্ট ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে আস্থাভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত খারিজ করে। অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে, ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিমুক্ত করার সিদ্ধান্তও বাতিল করে দেয় আদালত। বরং তাঁর মন্ত্রিসভা এবং প্রধানমন্ত্রিত্ব, দুই পুনর্বহাল করা হয়। শনিবার আস্থাভোটের দিন ঠিক করে দেয় আদালত। সেই মতো শনিবার পাক অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটি রয়েছে।