নিউইয়র্ক: পাকিস্তান বর্তমানে কার্যত 'টেররিস্তানে' পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতকে কাশ্মীর ইস্যু উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সাহিদ খাকান আব্বাসির কটাক্ষের পর, পাল্টা এই ভাষাতেই জবাব দিল নয়াদিল্লি। পাক প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন এখনই কাশ্মীরের জন্য বিশেষ দূত নিয়োগ প্রয়োজন। কাশ্মীরিদের ওপর ভারত সরকারের অত্যাচার অসহনীয়। জনতার সংগ্রামকে ভারত নির্মমভাবে দমন করছে বলে তাঁর দাবি।

এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত দাবি করে, পাকিস্তানের ইতিহাস খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়  সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তান এখন সমার্থক। প্রসঙ্গত উর্দুতে পাক শব্দের অর্থ 'পবিত্র'। কিন্তু এখন সেই 'পবিত্র' স্থানেই তৈরি হচ্ছে পবিত্র সন্ত্রাসবাদ। সেদেশ আর পাকিস্তান নয়, টেররিস্তানে পরিণত। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় মন্তব্য ভারতের। কার্যত রাষ্ট্রপুঞ্জে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য ঘিরে এখন বাকযুদ্ধ তুঙ্গে।





এদিকে এই প্রথমবারের জন্যে রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তব্য রাখলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। নিজের প্রথম বক্তব্যে শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও নিশানা করতে ছাড়েননি আব্বাসি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, তাঁদের একসময়ের বন্ধু-রাষ্ট্র থেকে দূরত্ব বাড়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ।তার সঙ্গে বেড়েছে বর্ণবিদ্বেষী মনোভাব এবং বিশেষ ধর্মর্কে ঘৃণা করার প্রবণতা। যার ফলে সারা বিশ্বের সঙ্গে পাকিস্তানের এক অলিখিত দেওয়াল তৈরি হচ্ছে, যেটা ঠিক হচ্ছে না বলেও বক্তব্যে বলেন আব্বাসি।

তবে আমেরিকাকে সেভাবে না বিঁধলেও, কড়া ভাষায় বিঁধতে ছাড়েননি ভারতকে। কাশ্মীরে ভারত যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তার জন্যে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ইসলামাবাদ। কাশ্মীরিদের মানবধিকার কতটা লঙ্ঘিত পুরোটাই তদন্তে করে দেখার আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান।

এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই পাল্টা সুর চড়িয়ে ভারতের তরফে দাবি করা হয়, যে দেশ ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দেয়, যেখানে নিশ্চিন্তে মোল্লা ওমর থাকেন, তাঁরা নিজেদের কীভাবে সন্ত্রাসের শিকার বলে দাবি করতে পারে?