নিউ ইয়র্ক: এখনই কাশ্মীরের জন্য বিশেষ দূত নিয়োগ করুন। কাশ্মীরীদের ওপর ভারত সরকারের অত্যাচার আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এই ভাষাতেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সাহিদ খাকান আব্বাসি রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের দাবি করলেন। কাশ্মীরী জনতার সংগ্রামকে ভারত নির্মমভাবে দমন করছে বলে তাঁর দাবি।

এই প্রথম রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা দিলেন আব্বাসি। নিজের বক্তৃতায় ১৭বার তিনি তোলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ আর ১৪বার নেন ভারতের নাম। অভিযোগ করেন, পাকিস্তান জন্মের প্রথম দিন থেকেই ভারত তাঁদের সঙ্গে শত্রুতা করে চলেছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। হুমকিও দিলেন, যদি ভারত নিয়ন্ত্রণরেখা টপকায় বা তাঁদের বিরুদ্ধে স্বল্প সময়ের যুদ্ধ শুরু করে, তবে তাঁরাও মুখের মত জবাব দেবেন।

তাঁর অভিযোগ, ভারতই পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে না। তাই রাষ্ট্রসঙ্ঘকে এগিয়ে এসে জম্মু কাশ্মীরে গণভোট সংক্রান্ত পূর্ব নির্ধারিত প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

যদিও তাঁর এই বক্তৃতার সময় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরের বাইরে বালুচ ও সিন্ধি স্বাধীনতা সংগ্রামীরা পাকিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।



আব্বাসি আরও বলেছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের উচিত, কাশ্মীরে এক বিশেষ দূত নিয়োগ করা। তিনি বুঝতে পারবেন কাশ্মীর পরিস্থিতি। এ বছর অসংখ্যবার ভারত-পাক সংঘর্ষের যাবতীয় দায় ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে তাঁর দাবি, এ বছর জানুয়ারি থেকে সীমান্তে ৬০০-র বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়েছে কিন্তু পাকিস্তান চূড়ান্ত সংযম বজায় রেখেছে। তারপর ভারত বিরোধী সুর চড়িয়ে আব্বাসির প্রচ্ছন্ন হুমকি, ভারত যদি নিয়ন্ত্রণরেখায় এভাবেই হামলা চালিয়ে যায় বা স্বল্প সময়ের যুদ্ধ শুরু করে, তবে তাঁরাও মুখের মত জবাব দেবেন।

দিল্লি শিগগিরই রাষ্ট্রসঙ্ঘে আব্বাসির বক্তব্যের জবাব দেবে।