ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে রাজনৈতিক সঙ্কট আপাতত কাটল। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আস্থাভোটে জয়ী হলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ আস্থাভোটের প্রস্তাব পেশ করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। সেই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর ভোটাভুটি হয়। সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য ১৭২ ভোট দরকার ছিল ইমরানের। তাঁর পক্ষে যায় ১৭৮ ভোট। ফলে ইমরান ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হলেন।


সম্প্রতি পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেটের ভোটে ইসলামাবাদ কেন্দ্রে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে হেরে যান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রার্থী আবদুল হাফিজ শেখ। ইমরানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আবদুল। তিনি ভোটে হেরে যাওয়ার পরেই পাকিস্তানে রাজনৈতিক ডামাডোল শুরু হয়েছে। ১০০ সদস্যবিশিষ্ট সেনেটে বিরোধী সদস্য সংখ্যা ৫৩। সরকারপক্ষের সদস্য ৪৭ জন। ফলে বিরোধীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ইসলামাবাদ কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রীর হারের পরেই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। সেই দাবি মেনে নিয়ে আস্থাভোটের কথা জানান ইমরান। আজ সেই আস্থাভোটে তিনি জয় পেলেন।


এর আগে আজ পিএমএল-এন নেতা আহসান ইকবালের মাথা লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়ে মারেন ইমরানের দল পিটিআই-এর এক কর্মী। সেই জুতো ইকবালের মাথায় লাগে বলে পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরে বিরোধী দলগুলির উদ্দেশে স্লোগান দিতে থাকেন পিটিআই কর্মীরা। পিএমএল নেতা শাহিদ খাকান আব্বাসি ও নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবকে হেনস্থা করেন পিটিআই কর্মীরা। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে।


পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বেচ্ছায় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আস্থাভোটে যোগ দিলেন ইমরান। এর আগে ১৯৯৩ সালে স্বেচ্ছায় আস্থাভোটের আয়োজন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এবার ইমরানও সেই পথেই হাঁটলেন।