ইসলামাবাদ: কুলভূষণ যাদব ইস্যুতে গতকাল আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে(আইসিজে) ধাক্কা খেয়ে দেশের ভিতরে প্রবল ক্ষোভের মুখে নওয়াজ শরিফ সরকার। চাপে পড়ে নতুন আইনজীবীদের একটি দলকে সেখানে সওয়াল করতে পাঠাচ্ছে তারা। আইসিজে-তে কূলভূষণের ব্যাপারে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরতে তাদের 'নাছোড় মনোভাব' নিয়ে সওয়াল করতে বলা হয়েছে।
চরবৃত্তির দায়ে দোষী ঘোষণা করে ভারতীয় প্রাক্তন নৌ অফিসার কুলভূষণকে পাকিস্তানি সামরিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে না, এটা সুনিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তানকে 'সব পদক্ষেপ' করতে বলেছে তারা। কুলভূষণকে কনস্যুলেট সহায়তা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডে আইসিজে-র অনুমোদন পেতে ব্যর্থতার জন্য পাক সরকারকে দুষছে দেশের আইনি বিশেষজ্ঞরা, বিরোধী রাজনৈতিক শিবির। তাদের নিশানায় পাক বিদেশমন্ত্রক। সকলেরই অভিমত, কী করে হেগের আদালতে ভারতের আক্রমণ সামলে কুলভূষণ প্রশ্নে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, জানা ছিল না বিদেশমন্ত্রকের। তারা ঠিকঠাক ভারতের মোকাবিলা করতে পারেনি, ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সর্বোচ্চ আইনি মঞ্চে পাকিস্তানের হয়ে লড়তে লন্ডন-নিবাসী আইনজীবী খাওয়ার কুরেশিকে বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছে সরকারের সমালোচকরা।


যদিও পাক দৈনিক দি নেশন-এর খবর, বিরোধীদের সমালোচনার মুখে কুরেশি সাহসিকতার সঙ্গেই পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরেছেন বলে দাবি পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের। তিনি সাফাই দিতে গিয়ে এও বলেছেন, কুলভূষণকে কনস্যুলেট সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে আইসিজে তাদের মতামত দিয়েছে মাত্র। আজিজকে উদ্ধৃত করে পাক দৈনিকটি বলেছে, পাকিস্তানের সুরক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মৌলিক সার্বভৌমত্ব অটুট রাখতে হবে বৈকি।