ইসলামাবাদ: ২টি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু অন্তত ৪০ যাত্রীর। আহত অন্তত ৫০। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানে।


পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার অন্তর্গত রেতি ও দাহরকি স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় উল্টোদিক থেকে এসে মিল্লত এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে স্যর সঈদ এক্সপ্রেস। 


রেল আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, লাইনচ্যুত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মিল্লত এক্সপ্রেস। সেই সময় সারগোধাগামী সঈদ এক্সপ্রেস সোজা এসে ধাক্কা মারে মিল্লতকে। 


পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ধাক্কার চোটে একটা বগি আরেকটার ওপর উঠে যায়। অনেক বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলির মধ্যে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ। 


ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্যের প্রক্রিয়া শুরু করেছে একাধিক দল। ওই রুটে সমস্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, বগিগুলিকে কাটতে ভারী কাটার আনা হচ্ছে। 


এর আগে, গত মার্চ মাসে লাহোরগামী করাচি এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হলে একজন মারা যান, ১৩ জন আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত রিপোর্টে দুর্ঘটনার নেপথ্যে খারাপ ট্র্যাককে দায়ী করা হয়।


এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, আজ সকালে ঘোটকিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুতে শোকাহত। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এবং নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করতে ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি। রেল নিরাপত্তার গাফিলতিতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।  


পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় দুটি ট্রেনে প্রায় ১১০০ জন যাত্রী ছিলেন। ঘোটকি পুলিশ কমিশনার উসমান আবদুল্লা বলেন, ঘোটকি, ধারকি, ওবরাও এবং মীরপুর মাথেলোর হাসপাতালগুলিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। যাতে আহতদের সেখানে দ্রুত ভর্তি করানো যেতে পারে।


ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে চিকিৎসক ও মেডিক্যাল টিম। আহতদের সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি, রোহরি থেকে একটি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। উসমান জানান, প্রাথমিক কাজ হল যত দ্রুত সম্ভব বগির মধ্য়ে আটকা থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো।