লাহোর: মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হানা মামলার মস্তিষ্ক হাফিজ মহম্মদ সঈদকে গৃহবন্দি রাখার সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন পাকিস্তান সরকার প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে গত ৩১ জানুয়ারি চার সহযোগীর পাশাপাশি সঈদকে ৯০ দিনের জন্য আটক করে পাক সরকার। সেই থেকে পাঁচজনই গৃহবন্দি।

পঞ্জাব সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক অফিসার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এজাজ আফজল খানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ফেডেরাল জুডিশিয়াল রিভিউ বোর্ডকে জানান, সঈদ ও তাঁর ৪ সঙ্গীর সন্ত্রাস দমন আইনে গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ আর বাড়ানোর পক্ষপাতী নয় প্রাদেশিক সরকার। জামাত নেতাদের আটক রাখার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। বোর্ড এটা গ্রহণ করুক।

সরকারের আবেদন গ্রহণ করে বিষয়টিতে ইতি টেনে দেয় বোর্ড।

কেন সরকার সঈদদের গৃহবন্দি রাখার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন তুলে নিল, জানতে চাওয়া হলে পঞ্জাব প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা যুক্তি দেন, সরকার সঈজ ও বাকি চারজনকে গৃহবন্দি রাখার মেয়াদ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে ১৯৬০ সালের জনজীবনে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশের অধীনে, তাই ওদের সন্ত্রাস দমন আইনে গৃহবন্দি করে রাখার প্রয়োজন আর নেই। সঈদ ও বাকিদের আটক রাখার জন্য রিভিউ বোর্ডে পেশ করার কথা ছিল, কিন্তু যেহেতু ৫ জনই জনজীবনে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার নির্দেশে আটক হয়েছে, সেজন্য ওদের গৃহবন্দি রাখার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য রিভিউ বোর্ডের সামনে হাজির করার বাধ্যবাধকতা নেই সরকারের।

প্রসঙ্গত, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সঈদ সহ ৫ জনের গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ আরও ৩০ দিন বাড়িয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দেয় পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ২৮ জুলাই শেষ যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, সেই অনুসারে ওদের আটক রাখার সময়সীমা ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে যায়।