কাবুল: সমগ্র আফগানিস্তানই কার্যত তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে বলে খবর। এরইমধ্যে আফগানিস্তানে প্রথম বিরোধিতার মুখে পড়ল তালিবান। পাঞ্জশিরে তালিবান বাহিনীকে রুখে দিল নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে তালিবান-নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সংঘর্ষ বাধে। প্রয়াত আফগান রাজনৈতিক নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলের আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে পঞ্জশির এলাকায় এই প্রতিরোধ গড়ে উঠছে বলে জানা গেছে।
২০০১-এ পঞ্জশির এলাকায় আফগানিস্তানের মুক্তির লক্ষ্য নর্দান অ্যালায়েন্স বা ইউনাইটেড ইসলামির ফ্রন্টের পতাকা প্রথমবার উত্তোলিত হয়েছিল। পাঞ্জশির তালিবান বিরোধী ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহর এলাকা। কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পরে লড়াইয়ের হুঙ্কার দিয়েছেন সালেহ।তালিবান-বিরোধীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও শুরু করেছে সালেহ।
তালিবানের দখলের বাইরে থাকা পঞ্জশির এলাকার সর্বত্র প্রতিরোধের পতাকা উড়তে শুরু করেছে। আফগানিস্তানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভারতের বন্ধু আমরুল্লা সালেহ পঞ্জশির উপত্যকায় পৌঁছেছেন এবং নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সংবিধানের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, কোনও প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব থেকে সরে গেলে, পদত্যাগ করলে বা মৃত্যু হলে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট হবেন। সালেহ বলেছেন, আমি বর্তমানে দেশেই রয়েছে এবং আমি দেশের বৈধ তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট। সমর্থন ও সহমতের জন্য আমি সমস্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
আহমেদ মাসুদ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মোহম্মদি সালেহ পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আহমেদ প্রয়াত কমান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে। তাঁর জীবিতাবস্থায় তালিবান তাদের প্রথম দফার শাসনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত সময়ে কখনও পঞ্জশির দখল করতে পারেনি।
তালিবানের নাগাল এড়িয়ে পঞ্জশির মরুদ্যান হিসেবে বিবেচনা করে সংখ্যলঘু শিয়া হাজারা পরিবারগুলি ২০০ কিমি হেঁটে পঞ্জশিরে রওনা দিয়েছেন বলে খবর। তাজিক ও আফগান সেনাবাহিনীর অনেকেই তাঁদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
যদিও পঞ্জশিরের চতুর্দিকে ঘিরে রয়েছে তালিবান। কারণ, এই এলাকার অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সীমান্ত নেই। কিন্তু এই পঞ্জশির এলাকাতেই এখন তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।