কাবুল : আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে প্রবল চেষ্টা করছে সরকার। গতকাল নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শ'দেড়েক ভারতীয় এখনও কাবুলে আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের আজ-কালের মধ্যেই দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। প্রস্তুত রয়েছে বিমান। চটজলদি যাওয়ার প্রয়োজন হলে আফগানিস্তান লাগোয়া প্রতিবেশী দেশ থেকেও বিমান চাওয়ার কথা ভাবছে ভারত সরকার। হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা গেলেই, কাবুলের দিকে উড়বে বিমান।


তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই সেদেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। তালিবান আতঙ্কে নিজের মাটি ছেড়ে দূরে পালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টার ছবি দেখা গেছে । তার জেরে উড়ন্ত বিমান থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এর পরও দেখা গেছে মর্মান্তিক ছবি। কাবুল বিমানবন্দরের দিকে দৌড়াতে দেখা গেছে মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের। এমনকী আমেরিকার বায়ুসেনার বিমানে ঝুলে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টাও করেন কেউ কেউ। তাতেই বিমান থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। যা এ পর্যন্ত আফগানিস্তান সংকটের অন্যতম ভয়াবহ চিত্র হয়ে উঠে এসেছে। শুধু কী তাঁরাই ! যাঁরা কোনও ক্রমে বিমানে উঠতে পেরেছেন, তাঁরা ঠাসাঠাসি করেই বিমান চেপেছেন। 


এই পরিস্থিতির মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান AI244 ১২৯ জন যাত্রীকে কাবুল থেকে দিল্লি নিয়ে আসে। তাঁরা দেশে ফিরে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর পর গতকাল ১২০ জন ভারতীয় আধিকারিককে নিয়ে ফেরে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান। গুজরাতের জামনগরে বিমানটি অবতরণ করে। এর আগে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় কর্মীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সেদেশের পরিস্থিতি দেখে এই সিদ্ধান্ত।


কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে নিরাপদে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এরইমধ্যে বিদেশ মন্ত্রক আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসার জন্য বিশেষ -ভিসা চালু করেছে। সোমবার কাবুল বিমানবন্দর ও আফগানিস্তানের আকাশ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছিল।