অসলো: রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মায়ানমার সরকারের রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের অভিযোগে আং সান সু কি-কে দেওয়া নোবেল শান্তি পুরস্কার খারিজের দাবিতে চেঞ্জ ডট ওআরজি পিটিশনে সই করেছেন ৩ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। তাতে বলা হয়েছে, নিজের দেশে মানবতা-বিরোধী এই অপরাধ বন্ধে কার্যত কিছুই করেননি মায়ানমারের অঘোষিত শাসক আং সান সু কি।

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসবাদীদের ভয়াবহ হামলার পাল্টা রাখাইন প্রদেশে মায়ানমারের বাহিনীর রোহিঙ্গা জনজাতির বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযানের অভিযোগে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষই ফুটে উঠেছে পিটিশনে।

মায়ানমারের সামরিক জুন্টার হাতে গৃহবন্দি থাকাকালে ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান সু কি। ২০১০-এ মুক্তি পান, দেশের স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম বৈধ নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থনের জোয়ারে নিজের দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন।

মায়ানমার সেনার নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, দলে দলে রোহিঙ্গাদের মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ পালানোয় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দিত, সমালোচিত হচ্ছে সু কির সরকার। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, গত ২ সপ্তাহে প্রায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজার উদ্বাস্তু বাংলাদেশে পালিয়েছে, এদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু।

সু কি-র অবশ্য দাবি, সন্ত্রাসবাদীদের স্বার্থ পূরণে রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিথ্যা খবরের হিমশৈলের ভিত্তিতে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।

অসলোয় নোবেল ইনস্টিটিউটের প্রধান ওলাভ নজোলস্তাদ অবশ্য সু কি-কে দেওয়া পুরস্কার ফেরানোর দাবি উড়িয়ে বলেন, আলফ্রেড নোবেলের উইল বা নোবেল ফাউন্ডেশনের নিয়মবিধি, কোনওটাতেই পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিত্সা, অর্থনীতি বা শান্তি, ক্ষেত্র যা-ই হোক, একবার পুরস্কার দেওয়া হয়ে গেলে প্রত্যাহারের কোনও সংস্থান নেই।

সেইসঙ্গে তিনি বলেন, নোবেল কমিটি শুধুমাত্র পদক প্রাপকের পুরস্কার পাওয়ার আগের কাজকর্মই খতিয়ে দেখে, তাঁর পরবর্তী কার্যকলাপ বিচার করে দেখা হয় না।