ওয়াশিংটন: ওমিক্রনের হাত ধরেই অতিমারি বিদায় নেবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও চরিত্র বদল করে ফের করোনা ভয়ঙ্কর ভাবে থাবা বসাতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এমন পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। তাই এ বার ওমিক্রন প্রতিরোধী বিশেষ টিকার (Pfizer-BioNTech Vaccine Trial)পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ শুরু হয়ে গেল আমেরিকায়। আমেরিকার সংস্থা ফাইজার (Pfizer) এবং জার্মানির বায়োএনটেক (BioNtech) মিলে তার জন্য নাম নথিভুক্তিকরণ শুরু করে দিল।
বিশেষ ভাবে ওমিক্রন (COVID Variant Omicron) প্রতিরোধের লক্ষ্যেই নতুন টিকার ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। ১৮ ছেকে ৫৫ বছর বয়সি প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে আপাতত এই পরীক্ষা চলবে। ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, পরীক্ষা ঠিকঠাক এগোলে এ বছর মার্চেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানো হবে।
ফাইজার সংস্থার টিকা সংক্রান্ত গবেষণার কাজে নিযুক্ত ক্যাথরিন জেনসেন জানিয়েছেন, করোনার আগের রূপ তো বটেই ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও তাঁদের তৈরি টিকা অত্যন্ত কার্যকর। তাই কোথাও কোনও ফাঁক রাখা হচ্ছে না। ওমিক্রন বাড়াবাড়ি পর্যয়ে চলে গেলে বা করোনার নতুন কোনও রূপের থাবা নেমে এলে, যাতে তা প্রতিরোধ করা যায়, তার প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: WHO on Covid 19: ওমিক্রনেই শেষ নয়, আরও ভয়ঙ্কর ভাবে ফিরতে পারে করোনা, জানাল হু
বায়োএনটেক সংস্থার সিইও উগুর সাইন জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি যে টিকা আগে থেকেই বাজারে রয়েছে, তা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকর। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, যেখানে ভাইরাসের চরিত্রবদলের সম্ভাবনা রয়েছে, এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি ১ হাজার ৪২০ জন মানুষের উপর টিকার এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালানো হবে। যাঁদের দু’টি টিকাই হয়ে গিয়েছে, তাঁদের উপর বুস্টার টিকা হিসেবে নয়া টিকা প্রয়োগ করা হবে সংস্থার তরফে।
ফাইজার এবং বায়োএনটেক-এর তৈরি টিকাই প্রথম অনুমোদন পায় আমেরিকায়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সে দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা টিকার ব্যবহারে সায় দেয়।