ওয়াশিংটন : ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ কার্যকর তাদের ভ্যাকসিন। সোমবার এমনই দাবি করল ফাইজার ও বায়োএনটেক। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাসের মধ্যেই এই সুফল পাওয়া যাবে বলে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।


সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২২২৮ জনের ওপর ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। যার তথ্য তাদের আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে সম্পূর্ণ অনুমোদন পেতে কাজে আসবে। তাছাড়া দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরেও নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি ।


ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোর্লা এক বিবৃতিত জানিয়েছেন, যেহেতু গোটা বিশ্বে টিকাকরণের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত এই তথ্য কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে আমাদের ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকরিতা নিয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কিছু কিছু জায়গায় এই বয়সীদের ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। আমরা এই তথ্য FDA ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইছি। 


গত মে মাসেই এই ভ্যাকসিন কিশোর ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছিল। এবার এই সংস্থার তরফে সম্পূর্ণ অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনের সম্প্রতি ১৬ বয়সীদের থেকে সম্পূর্ণ প্রয়োগের ছাড়পত্র রয়েছে। 


এদিকে বিশ্বের গরিব দেশগুলিকে Covid Pill বা করোনা (Covid-19) প্রতিরোধক বড়ি তৈরির অনুমতি দেবে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার (Pfizer)। সম্প্রতি কোম্পানির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ঘোষণা করা হলেও এখনও অনুমোদন পায়নি মার্কিন সংস্থার এই 'ওরাল পিল' বা খাওয়ার বড়ি। 


কোভিডকালে জার্মানির বায়োএনটেকের সঙ্গে কোভিডের টিকা তৈরি করেছে ফাইজার (Pfizer)। কোভিড প্রতিরোধক খাওয়ার বড়ি প্রসঙ্গে কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের প্যাক্সোলেভিক নামের বড়ি তৈরির অনুমোদনের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মাধ্যমে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি কোনও রয়্যালটি ছাড়াই তাদের বড়ি তৈরি করতে পারবে।