নয়াদিল্লি: ইমরান খান পারেননি। কিন্তু, বরিস জনসন (Boris Johnson) পারলেন। এ যাত্রায় গদি বাঁচালেন বরিস। পার্টিগেট কেলেঙ্কারি দূরে সরিয়ে আস্থা ভোটে জিতলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বরিসের বিরুদ্ধে করোনাকালে লকডাউন (Lockdown) চলাকালীন সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দিতে হয় জরিমানাও। সেই রেশ কাটার আগেই অস্বস্তি বাড়িয়ে বরিস জনসনের নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির অন্তত ৫৪ জন এমপি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। তার জেরে আস্থাভোটের মুখোমুখি হয়ে হয় বরিস জনসনকে। তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ২১১, বিপক্ষে পড়েছে ১৪৮। কোনও ভোট নষ্ট হয়নি। সম্প্রতি একটি টানাপড়েনে, বরিসের দলের সাংসদরাই বেঁকে বসেছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে এই জয় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কত ভোটে জয়ী:
ভোটে জিততে ১৮০ জনের সমর্থন লাগত বরিস জনসনের। সেখানে ২১১টি ভোট পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, তাঁর নিজের দলের একাধিক সদস্যই তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এর ফলে বরিসকে কেন্দ্র করে তাঁর দলের মধ্যেই যে ফাটল তৈরি হয়েছে তা স্পষ্ট।
মাত্র বছর তিনেক আগেই ভোটে জয়ী হয়ে এসেছিলেন বরিস জনসন। তারপরেই একাধিক অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের দলের লোকজনই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। এর আগে ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থেরেসে মে'কেও আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এরপরেও ফের কোনও আস্থাভোটের সামনাসামনি হতে পারে বরিস জনসনকে। যদিও এখনও পর্যন্ত যা নিয়ম তাতে একবার আস্থাভোটে জিতলে অন্তত একবছরের জন্য আর আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে হয় না ব্রিটেনে। তবে সেই নিয়ম বদল করার চেষ্টাও করা হতে পারে বলে সূত্রের খবূর।
কেন ক্ষোভ:
কোভিড নিয়ন্ত্রণ, কোভিড পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের (Britain) অবস্থা এবং আরও নানারকম কারণে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বেড়েছিল। কনজারভেটিভ পার্টির একাধিক সদস্য বরিসের বিরুদ্ধে অসন্তোষ জানিয়ে আস্থাভোট চেয়ে চিঠি দিয়েছিল।
এবার আস্থাভোটে জিতেও যে খুব একটা স্বস্তিতে থাকবেন বরিস তার স্থিরতা নেই। বরিসকে পদ থেকে সরানোর জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধী-গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন: আপনি যে ওষুধ কিনছেন তা আসল না নকল ? এই উপায়ে ধরবেন জালিয়াতি