ঢাকা:  বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর আর বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে আজই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 


আর এদিনই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ল বাংলাদেশে। মোদি-বিরোধী প্রদর্শন করার সময় পুলিশর গুলিতে প্রাণ হারাল চার বিক্ষোভকারী। এরপর, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ এবং রবিবার বনধের ঘোষণা কয়েছে বিক্ষোভকারী সংগঠন। 


বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে দাবি, হাটহাজারিতে মোদির-বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল একটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী। ক্রমে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। চারজনের দেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, চারজনের মৃত্যুই গুলিতে হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 


হাটহাজারি শহরে আচমকা হাজার দেড়েক বিক্ষোভকারী মোদি-বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে থানা ঘেরাও করে। সুত্রের দাবি, আচমকা থানা ঘিরে এমন প্রদর্শনে হতচকিত হয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ, থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে হয়।


বিক্ষোভকারী গোষ্ঠীর এক নেতার দাবি, শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলছিল। পুলিশ আচমকা গুলি চালিয়ে হত্যা করে। তিনি বলেন, প্রায় ৫ হাজার মানুষ স্বতঃস্ফুর্ত বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। মূলত মোদির সফরের প্রতিবাদেই চলছিল বিক্ষোভ প্রদর্শন। 


এদিনই মধ্য ঢাকায় একটি মসজিদে মোদি-বিরোধী স্লোগান তুলে একদল বিক্ষোভকারী প্রদর্শন চালাচ্ছিল। পুলিশ রবার-বুলেট চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। সেখানে ৯ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছিল।


বাংলাদেশে মোদি-বিরোধী বিক্ষোভ চলছে বৃহস্পতিবার থেকেই। গতকাল, পুলিশ-বিক্ষোভকারী খণ্ডযুদ্ধে ৪০ জন আহত হন। এরমধ্যে চার পুলিশকর্মীও ছিলেন। গ্রেফতার করা হয় ৩৩ জনকে। 


এদিকে, শুক্রবার সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান নরেন্দ্র মোদি। 


এরপর প্যারেড গ্রাউন্ড অডিটোরিয়ামের বক্তৃতায় মোদি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য, তাঁদের জীবন সংগ্রামে সামিল হওয়া আমার জীবনে প্রথম আন্দোলন ছিল। তখন ২০-২২ বছর বয়স। তখন আমরা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য আমরা আন্দোলন করি। জেলেও যেতে হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যতটা এখানে উৎসুক ছিলেন, ততটাই ওখানেও ছিল।