# নেপি দও (মায়ানমার): মায়ানমার পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসবাদ দমন, নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দু দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার রোডম্যাপ স্থির করার জন্য এটাই তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। পৌঁছেই তিনি ট্যুইট করেন, নেপি দও এলাম। মায়ানমার সফর শুরু। মায়ানমার থাকাকালে নানা ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেব।





# বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমারও নেপি দও বিমানবন্দরে মোদীর নামার বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে ট্যুইট করেন, মিঙ্গালাবা মায়ানমার! ব্রিকস সম্মেলনে প্রবল কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার পর নেপি দওয়ে এসে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন প্রধানমন্ত্রী @ নরেন্দ্র মোদী।




# মোদী পৌঁছতেই তাঁকে স্বাগত জানান মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কও। দুজনে গার্ড অব অনারও নেন।

# মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ ছেড়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের দলে দলে পালিয়ে বাংলাদেশ ও অন্যত্র চলে যাওয়া নিয়ে আলোড়ন চলছে। সেই প্রেক্ষাপটেই এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কাল মায়ানমারের অবিসংবাদিত নেত্রী সু কি-র সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা তাঁর।

# রোহিঙ্গাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি মায়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি তুলতে পারেন।

# ভারত সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেওয়া হবে। এরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলে দাবি নয়াদিল্লির।

জিয়ামেন: ব্রিকস সম্মেলন শেষে জিয়ামেন থেকে মায়ানমারের রাজধানী নেপি দও রওনা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমনের মতো ক্ষেত্রে ভারত, মায়ানমারের মধ্যে সহযোগিতা আরও প্রসারিত করে তোলার রোডম্যাপ স্থির করাই এই সফরের লক্ষ্য। এই প্রথম প্রতিবেশী দেশটিতে দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন তিনি।

চিনা বন্দর শহর জিয়ামেন ছাড়ার আগে মোদী ট্যুইট করেন, ব্রিকস সম্মেলনের সময় চিনা সরকার ও জনগণকে তাদের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। মায়ানমারে দ্বিপাক্ষিক সফরে রওনা হচ্ছি রওনা হচ্ছি।

বৈঠকে তিনি কথা বলেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে।




মোদী আগেই বলেছেন, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসদমন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পরিকাঠামো, শক্তি ও সংস্কৃতির মতো নানা ক্ষেত্রে চলতি সহযোগিতার পরিধি আরও বাড়ানোর দিকে নজর দেবে ভারত ও মায়ানমার। তাঁর সফর দুটি দেশের মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতার রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মোদীর জন্য এদিন পরে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতিন কও। তাঁর সঙ্গেও আলাদা করে দেখা হবে প্রধানমন্ত্রীর। এছাড়া মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর আউং সান সু কি-র সঙ্গেএ আগামীকাল একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে তাঁর।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে, দুদেশ তাও খতিয়ে দেখবে। মায়ানমারের আর্থ-সামাজিক বিকাশে ভারত যে সহযোগিতা ও সহায়তার যে কর্মসূচি নিয়েছে, জোর দেওয়া হবে তার ওপর। মোদী হেরিটেজ শহর বাগানে যাওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। সেখানকার আনন্দ মন্দিরের সংস্কারে 'দারুণ কাজ' করেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে বা এএসআই। গত বছরের ভূমিকম্পে নষ্ট হওয়া একাধিক প্যাগোডা, মূর্তির সংস্কারের কাজও হাতে নিয়েছে তারা।

২০১৪-য় আসিয়ান-ইন্ডিয়া সামিটের সময় মায়ানমার সফরে গিয়েছিলেন মোদী। পাল্টা গত বছর ভারত সফরে গিয়েছিলেন মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট এবং সু কি।