সিওল: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা গ্রহণ করায় নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেওয়া হল ২০১৮ সিওল শান্তি পুরস্কার। শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল পিস প্রাইজ
ফাউন্ডেশনের তরফে এই পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হল তাঁকে। ওই অনুষ্ঠান প্রদান মঞ্চেই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিতে তুলে ধরা হল নমোর নাতিদীর্ঘ জীবনীও। পুরস্কৃত হবার পর এই সম্মান ভারতবাসীকে উত্সর্গ করলেন
প্রধানমন্ত্রী।
মোদি বলেন, “এই সম্মান শুধু আমার নয়, দেশবাসীরও। বিগত পাঁচ বছরে ভারতীয়রা তাদের আকাঙ্খা,
অনুপ্রেরণা ও প্রচেষ্টায় বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি এই সম্মান গ্রহণ করছি
এবং আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।” একইসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, মহাত্মা গাঁধীর ১৫০ তম
জন্মবর্ষে এই সম্মানে সম্মানিত হওয়ায় তিনি গর্বিত।
এই পুরস্কারের সঙ্গে ২ লক্ষ মার্কিন ডলারও (প্রায় দেড় কোটি টাকা) তুলে দেওয়া হয় তাঁকে।সেই অর্থের পুরোটাই তিনি দান করেছেন ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে, তা খরচ করা হবে গঙ্গার সংস্কারে। প্রসঙ্গত, তিনি এই পুরস্কারের ১৪তম প্রাপক। অতীতে এই পুরস্কার পেয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেল ম্যার্কেল, ইউএন সেক্রেটারি জেনারেল কোফি আন্নানের মতো ব্যক্তিত্বরা।
উল্লেখ্য, এদিনও বিশ্ব সন্ত্রাস নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করতে শোনা যায়া প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে যেভাবে মৌলবাদ ও সন্ত্রাস একইসঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তা সত্যিই চিন্তার কারণ। বিশ্বশান্তি ও নিরপত্তার ক্ষেত্রে এটা সত্যিই আশঙ্কার বিষয়। সময় এসেছে জোটবদ্ধ হয়ে লড়ার। যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তাদের উচিত এখনই একে অপরের হাত ধরা। হিংসার বদলে হিংসা কখনই শান্তির পথ হতে পারে
না। সন্ত্রাসকে একেবারে নির্মূল করতে একতা ও উন্নয়নকে হাতিয়ার করতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং পারষ্পরিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে আমরা বদ্ধ পরিকর। ”দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি সেখানে মহাত্মা গাঁধীর একটি আবক্ষ মূর্তিও উন্মোচিত করেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
প্রাক্তন ইউএন সেক্রেটারি জেনারেল বান কি-মুন সহ দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জে-ইনও।