দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় দিনে গাঁধীজির বর্ণবৈষম্য বিরোধী লড়াইকে শ্রদ্ধা জানাতে পেন্ট্রিচ থেকে ট্রেনে পিটারমেরিটজবার্গ প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ট্রেনে চড়ে যান প্রধানমন্ত্রী।
সালটা ১৮৯৩। শেঠ আবদুল্লার একটি মামলা লড়তে গুজরাতের রাজকোট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান গাঁধী। জাহাজে করে তিনি পৌঁছোন ডারবার। ৭ জুন সেখান থেকে তিনি প্রিটোরিয়াগামী ট্রেন ধরেন। তাঁর কাছে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট ছিল। কিন্তু, ট্রেন যখন পিটারমেরিটজবার্গের কাছে, তখন গাঁধীজিকে ফার্স্ট ক্লাস থেকে নেমে থার্ড ক্লাসে চলে যেতে বলা হয়। গাঁধীজি রাজি না হলে তাঁকে জোর করে, ধাক্কা মেরে স্টেশনেই নামিয়ে দেওয়া হয়।
তারপর কনকনে ঠাণ্ডায় সারা রাত স্টেশনের ওয়েটিং রুমে বসে গাঁধীজি ভেবেছিলেন, এবার তাঁর কী করা উচিত। মাথা নীচু করে সব মেনে নেওয়া, নাকি ভারতীয়দের ওপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ। শেষমেশ অবশ্য তিনি দ্বিতীয় পথটাই বেছে নেন।
যেখানে গাঁধীজিকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই স্থানটি ঘুরে দেখেন মোদী। গতকালই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার সঙ্গে বৈঠকের পর গাঁধীজি এবং নেলসন ম্যান্ডেলার স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। মোদী বলেন, বর্ণবিদ্বেষ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়বে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। এখানেই গাঁধীজি চলার পথের দিশা খুঁজে পান। তাই তিনি যতটা ভারতবর্ষের, ততটা দক্ষিণ আফ্রিকারও।