ইসলামাবাদ: পানামা পেপার্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট।  অসত আচরণের জন্য শরিফ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও গত শুক্রবার  রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরফলে  প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন শরিফ। এই অবস্থায় পাকিস্তানের শাসক দল পিএমএল (এন) যাঁকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করেছে সেই শাহিদ খাকান আব্বসির বিরুদ্ধেই ঝুলছে প্রায় ২২০০ ডলারের দুর্নীতির মামলা।
প্রাক্তন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আব্বাসি ২০১৫-তে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)-র দায়ের করা এলএনজি আমদানি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
আগামীকাল পাক পার্লামেন্টে শরিফের জায়গায় আব্বাসি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।  তার আগে এই খবর নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলবে পাকিস্তানের শাসক দলকে।
শনিবার শরিফের নেতৃত্বে এক বৈঠকে শাসক দল পিএমএল-এনের বৈঠকে স্থির হয়, শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী থাকবেন আব্বাসি। শাহবাজ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ফের কুর্সি বদল হবে। সরকারের মেয়াদের বাকি দশ মাস প্রধানমন্ত্রী হবেন শাহবাজ।
এনএবি-র নথি অনুযায়ী, ২০১৩-তে সরকারি নিয়ম ভেঙেই এলএনজি আমদানি ও বন্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি সংস্থাকে। এই ঘটনায় ২০১৫-র জুলাইয়ে এনএবি মামলা দায়ের করে।  ওই মামলা তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে।
যদিও এনবিএ চেয়ারম্যান কামার জামান চৌধুরী বক্তব্যে ওই অভিযোগকে তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এর থেকে মনে করা হচ্ছে যে, শরিফ পরিবারের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের মতোই এই অভিযোগও আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আব্বাসি অবশ্য বলেছেন, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা  কোনও অভিযোগ নিয়েই ভীত নন। তিনি আরও বলেছেন, যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তাঁদের নিজেদের দিকটা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। এ সব কাজকর্মের জন্য তাঁদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
এনবিএ-তে দায়ের হওয়া অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছে আওয়ামি মুসলিম লিগ নেতা শেখ রশিদ আহমেদ।