ইসলামবাদ: ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান দেশে ফেরার পরদিনই পাকিস্তানি বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির দাবি, কোনওরকম চাপ বা বাধ্যবাধকতার মুখে পাকিস্তান তাঁকে ছাড়েনি। ২ দিন পাকিস্তানের কব্জায় থাকার পর শুক্রবার অভিনন্দনকে রেহাই দেয় পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশের পার্লামেন্টে ঘোষণা করেছিলেন, শান্তির বার্তা দিতেই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তাঁরা তাঁকে মুক্তি দেবেন। কিন্তু ভারত বলেছে, জেনেভা কনভেনশনের রীতি, নিয়ম মেনে বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি পুলওয়ামা হামলা নিয়ে ও বন্দি ভারতীয় পাইলটকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, সংঘাতের মাত্রা কমাতে পাকিস্তানকে প্রবল চাপ দিচ্ছিল আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও সৌদি আরব। কিন্তু কুরেশির কথায় তা অস্বীকার করার প্রয়াস স্পষ্ট। তিনি বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, আমরা ভারতকে এই বার্তাই দিতে চেয়েছি যে, তোমাদের আর বেশি দুঃখ, কষ্ট দিতে চাই না। তোমাদের নাগরিকরা বিপদে পড়ুক, চাই না, শান্তি চাই আমরা।
গতকাল রাতে দেশের মাটিতে পা রেখে বীরের সংবর্ধনা পেয়েছেন অভিনন্দন। তাঁর মিগ-২১ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হলে পাকিস্তানের মাটিতে নামার পর তিনি ধরা পড়েন। প্রায় ৬০ ঘন্টার উত্তেজনায় ভরা বন্দিদশা কাটিয়ে গতকাল ছাড়া পান তিনি। কিন্তু তাঁকে কোনও চাপ বা বাধ্যবাধ্যকতায় পড়ে রেহাই দেওয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ কুরেশি। তাঁকে উদ্ধৃত করে জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলিকে দেশের বা আঞ্চলিক শান্তি বিপন্ন করতে দেবে না। চরমপন্থী লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্ল্যান করছি আমরা। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পাকিস্তান আঞ্চলিক শান্তি বিপন্ন হতে দেবে না বলেও জানান তিনি। বলেন, পাকিস্তান অতীতে ফিরে যেতে চায় না। আর যদি অতীতে ফিরে তাকাতে হয়, তবে আমাদের দেখতে হবে, কীভাবে সংসদ হামলা, পঠানকোট বা উরির ঘটনা হয়েছিল, সেটা বিরাট কাহিনি।
জয়েশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ফের জানান কুরেশি।