জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়েছে যে, সাধারণ মানুষের অনেকেই তাঁদের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন। পাকিস্তানে একসঙ্গে অনেকগুলি ডিম কিনলে এক ডজনের জন্য দিতে হচ্ছে ২৪০ টাকা। মুরগীর মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা।
ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে এখনও জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ দারিদ্রসীমার নিচে। কাজেই দৈনন্দিন অত্যাবশ্যক সামগ্রীর আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে তাঁদের যে অবস্থা হচ্ছে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। পাকিস্তানে চিনির দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ১০৪ টাকা। রান্নার গ্যাসের সংকট এমনিতেই চলছে। তারমধ্যে এই মূল্যবৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই অনেকেরই দুবেলা দুমুঠো পেঠ ভরে খাবার জোগাড় করতে চরম সমস্যা হচ্ছে।
পাকিস্তানে খাদ্যশষ্যের সংকটও চলছে। সেইসঙ্গে ঘরোয়া গ্যাসের সমস্যাও আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, চিনি ও আটার দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য ইমরান সরকারকে বারেবারেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে হচ্ছে।